বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন বরখাস্ত

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। জন্ম নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। চূড়ান্তভাবে তাকে কেন বরখাস্ত করা হবে না সে বিষয়ে জানতে চেয়ে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর আগে একই কারণে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব মোহাম্মদ ইউসুফকে বরখাস্ত করা হয়।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অপর এক স্মারকে আত্মসাতকৃত টাকা আদায়ের জন্য চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ ও সাবেক সচিব মোহাম্মদ ইউসুফের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ এই দুই অর্থ বছরের জন্ম নিবন্ধন ও ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত ছয় মাসের ট্রেড লাইসেন্স খাতে আদায়কৃত অর্থ আত্মসাত করেছেন বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ ও তার সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ। এই দুই খাতে মোট ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় অডিট আপত্তি তোলা হয়। পরে তদন্তে নামে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

তদন্তে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জন্ম নিবন্ধন ফি বাবদ ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮০ টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে একই খাতে ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭২০ টাকা এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৯০০ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তদন্তে এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে উক্ত টাকা আদায়সহ ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে। এবং আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়। তবে এ ঘটনায় ইউপি সচিবকে বরখাস্ত করা হলেও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি আত্মসাৎকৃত টাকাও আদায় করা হয়নি। এ বিষয়ে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বরখাস্তের বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে জানান চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমার সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ এই টাকা আত্মসাত করেছে। তবে আমি সচিবের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। মামলাটি পিবিআইতে তদন্ত আছে। এ বিষয়ে দুদকও তদন্ত করছে।

এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুক্লা সরকার বলেন, এ বিষয়ে এখনও আমি চিঠি পাইনি। জেলা প্রশাসক হয়ে চিঠি আসবে। চিঠি হাতে পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত