নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে অবশেষে বন্দরে আল-আমিন জামে মসজিদ কমিটির দায়িত্ব পালন করতে অনুমতি পেলেন নতুন কমিটি। শনিবার (১লা জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি মনিরুল ইসলাম সাবেক ও বর্তমান কমিটির সদস্যদের নিয়ে সমস্যা সমাধান করার জন্য বিএম স্কুলে বসে। এসময় জেলা জাতীয় পার্টির নেতা আবু জাহেল ও বন্দর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত আজহারুল ইসলাম, বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায়ে বালুদস্যু হিসেবে পরিচিত চাঁন মিয়া সহ সাবেক কমিটির লোকেরা বর্তমান কমিটির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে চড়াও হয়ে উঠে। প্রায় ১০ মিনিট তারা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
এরপর পরিস্থিতি শান্ত করে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম সাবেক ও বর্তমান কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ঈদের পরে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সাবেক ও বর্তমান কমিটির লোকজনকে নিয়ে বসে এর পূর্ণ সমাধান করে দিবো। প্রয়োজনে ভোটের মাধ্যমে আমরা নির্বাচন দিবো। এখন যারা বেতনভূক্ত আছে তাদের বাড়ির হোল্ডিং নাম্বারসহ নামের তালিকা তৈরি করবেন। যেহেতু ৯ মাস ধরে মসজিদ কমিটি নিয়ে সমস্যা এখন আর নতুন করে কোন সদস্য নেয়া যাবে না। কয়েকদিন পরে ঈদ, হুজুরের বেতন দিতে হবে তাই বর্তমান যারা কমিটি পরিচালনা করছেন তারাই সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পরিচালনা করবেন। সাথে সাবেক কমিটির দুজন লোক নিয়ে নিবেন।
প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় আল-আমিন এলাকাবাসী এবং বাড়িওয়ালাদের সম্মতিক্রমে আগের কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করেন ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়া। পরে আল-আমিন এলাকাবাসী আলোচনা করে সকলের সম্মতিক্রমে গত মাসের ১১ মে শনিবার ৩ জনকে উপদেষ্টা, ২০ জনকে উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য এবং হাজী মোজাম্মেল হক কে সভাপতি ও লুৎফর রহমানকে সাধারন সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির পরিচিতি এবং নামের তালিকাসহ বন্দর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারী ও বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ রফিকুল ইসলামকে ফুলেল অভর্থ্যনা জানান। এর পর থেকে বিলুপ্তি কমিটির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক সারজাহান বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ দিয়ে থাকেন। এদিকে পুরনো কমিটির বিরুদ্ধে ফান্ডের র্অথ বুঝিয়ে না দেয়ার অভিযোগও উঠেছে।