নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : বন্দরে ভাষা আন্দোলনের দীর্ঘ ৬৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো অবমূল্যায়িত বন্দরের মহান ভাষা সেনানীরা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভাষা সৈনিকদের নামানুসারে সড়ক, ব্রিজ, সেতু কিংবা বৃত্তি প্রদান করা হলেও নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ভাষা সৈনিকদের নামানুসারে সরকারী কিংবা বেসরকারী কোন উদ্যোগ এখনও গ্রহন করা হয়নি। যে কারনে হারিয়ে যেতে বসেছে ভাষা সৈনিকদের বিরত্ব গাঁথা সেই ইতিহাস।
সরকারী তালিকা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন ৯জন ভাষা সৈনিক রয়েছে। এরা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত আহ্বায়ক তথা মাহমুদ নগর এলাকার মফিজুল ইসলাম,সোনাকান্দা মৃধা বাড়ী এলাকার শফিউল্যাহ মৃধা, আহসান উল্যাহ মৃধা,আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাসান, আলহাজ্ব এমএ আসগর, নবীগঞ্জ কদম রসুল এলাকার আসেক আলী মৃধা, খানবাড়ী এলাকার মরহুম ইউনুছ খান, মরহুম ফুল মিয়া চৌধুরী ও আলাউদ্দিন মিয়া।
ভাষা সৈনিক পরিবারের দাবী ভাষা সৈনিকদের স্মৃতি সংরক্ষনের স্বার্থে তাদের নামানুসারে অন্তত বিভিন্ন সড়ক,সেতু কিংবা চত্বরের নামকরন করা হোক। এতে করে হয়ত ভাষা সৈনিকদের পরিবারগুলো তাদের পূর্বপুরুষদের ত্যাগ-তিতীক্ষাগুলো স্বার্থক হিসেবে গ্রহন করতে পারবে।
এ ব্যাপারে ভাষাসৈনিক আশেক আলী মৃধার পুত্র নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন মৃধা বলেন, ভাষা সৈনিকদের পরিবাররা নিরবে কাঁেদ। তাদের প্রতি কারো যেন কোন মাথা ব্যথা নেই। বছরশেষে এই দিনটিতে নিউজ করার জন্য একমাত্র সাংবাদিকরাই খোঁজ নেয়। অথচ যাদের আত্বত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি তারাই যদি অবমূল্যায়িত হয় তবে এই ভাষার স্বার্থকতা কোথায়?
তিনি আরো বলেন, ইতিহাস সংরক্ষনের স্বার্থে হলেও ভাষা সৈনিকদের নামানুসারে বন্দরের বিভিন্ন চত্বর কিংবা সড়কের নামকরন করা উচিৎ। আজকে বায়ান্ন এর ভাষা আন্দোলনে যদি ভাষা সৈনিকেরা ঝাপিয়ে না পড়ত তাহলে আমাদের উর্দ্দু ভাষাতেই কথা বলতে হতো। বায়ান্ন এর বাংলা ভাষা থেকেই আমরা ৭১ এর স্বাধীন বাংলার সাধ পেয়েছি। ভাষার ইতিহাস ভুলে গেলে তো চলবেনা। কেবল ভাষা দিবস এলেই তাদের সম্মান জানানো হয়। ভাষাবীরদের পরিবারগুলো চায় স্বীকৃতি।
বন্দরের ভাষাসৈনিক পরিবারের দাবী যে কোন মূল্যে হলেও বন্দরে ৯ ভাষা সৈনিকের নামানুসারে যাতে বিভিন্ন সড়ক কিংবা চত্বরের নামকরন করা হয়। তাহলে অন্তত ভাষা সৈনিকের পরিবারের সদস্যরা একটু হলেও সান্তনা পাবে।