নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের ৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তারা হলেন, ফজলে রাব্বি (৩০), আহমেদ জাফর (৫৯), আব্দুল্লাহ আল ফারুক (৬২) ও রুমকি আক্তার (৩২)। তাদের মরদেহ শনাক্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে ফজলে রাব্বি নারায়ণগঞ্জের ভূইঘর এলাকার জহুরুল হকের ছেলে। তিনি এফআর টাওয়ারের ১১ তলায় অবস্থিত ইউরো সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার বড় বোন শাম্মী আক্তার।
এছাড়া আহম্মেদ জাফর সোনারগাঁয়ের নবীনগরের হেলাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি সোনালী ব্যাংকের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মাত্র তিনমাস আগে চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করে বনানীর এফআর টাওয়ারের আসিফ ইন্টারপ্রাইজের ট্রান্সপোর্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। এবং তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদিয়া হাউজিংয়ের বাসিন্দা।
অপর দিকে আব্দুল্লাহ আল ফারুক ডেমরার পূর্ব ডগাইর মৃত মৃত মকবুল আহম্মেদের ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জ বসবাস করতেন স্বপরিবারে। এবং রুমকি আক্তার নীলফামারির জলঢাকার মাকসুদুর রহমানের স্ত্রী। তারা নারায়ণগঞ্জেই বসবাস করতেন।
সূত্র জানায়, বৃহষ্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে আগুনে নিহত একজনের পকেটে হঠাৎ করেই মোবাইল ফোন বেজে উঠে। তখন আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের একজনকর্মী সেই মোবাইল ফোনটি হাতে নিয়ে রিসিভ করতেই অপরপ্রান্ত থেকে রাব্বি রাব্বি বলে ডাকতে থাকেন নারী কণ্ঠ। তিনি শাম্মী আক্তার। তার কাছ থেকেই জানা যায় ফজলে রাব্বির পরিচয়।