নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( মিলন হোসেন, বদলগাছী সংবাদ দাতা) : নওগাঁর বদলগাছী প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার যেমন বিশ্বের দরবারে পর্যটকদের মুগ্ধ করেছে। তেমনি কৃষি চাষাবাদে সাড়া বছর সব ধরনের ফসল সহ সবজি চাষে বিখ্যাত এলাকা হিসাবে পরিচিত নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার উর্বর সমতল ভূমীর গভীর গর্ভে জমিয়ে রয়েছে খনিজ সম্পদের ভান্ডার। যা শুধু এলাকাবাসী নয় গোটা দেশবাসীকে গর্বিত করেছে।
ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায় বদলগাছীতে সন্ধ্যানকৃত খনিজ সম্পদ রয়েছে উন্নতমানের চুনাপাথর এবং বিশ্বের সব চেয়ে বড় মজুদ এই খনিতে রয়েছে। ২০১৬ সালের ২০ ফেব্র“য়ারী বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) খনিজ সম্পদ অনুসন্ধ্যানে নওগাঁর বদলগাছীর তাজপুর মৌজায় খনন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সেখানে ২২১৪ ফুট গভীরে চুনাপাথরের সন্ধ্যান মিলে। এ অনুসন্ধ্যান দল ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর উপজেলার ভগবানপুর গ্রামে ২য় খনন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। সেখানে ২১০৯ ফুট গভীরে চুনাপাথরের সন্ধ্যান মিলে। সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় হটাৎ করেই অসমাপ্ত অবস্থায় খনন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এলাকাবাসী জানান বদলগাছী একটি ঐতিহাসিক উপজেলা।
এই উপজেলায় অবস্থিত ঐতিহাসিক পাহাড়পুর সংরক্ষন সহ আরও দর্শনীয় করে গড়ে তুলতে নানামুখী উন্নয়নমুলক কাজ সম্পূর্ন করা হয়েছে। যেভাবে পাহাড়পুর পর্যটকদের হৃদয় মনকে আকৃষ্ট করে। তেমনি এলাকাবাসী সংস্কার দাবী করছে আরও ঐতিহ্যবাহী স্থান হলুদবিহার প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসস্তুপ। এই প্রাচীন নিদর্শন দৃষ্টি কারে দর্শনার্থীদের। এ থেকে সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আসে। এলাকাবাসীর দাবী বদলগাছী শুধু ইতিহাস ঐতিহ্য নয় ভূ-গর্ভে ও রয়েছে খনিজ সম্পদের ভান্ডার কিন্তু হটাৎ করেই খনন কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় এলাকাবাসী বিষ্মিত। সরকার এ খনিজ সম্পদ উত্তোলন করবে কিনা এ সিদ্ধান্ত সরকারের কিন্তু ভূ-গর্ভে আরও কি ধরনের খনিজ সম্পদ রয়েছে খনন প্রকল্প অব্যাহত রেখে তা জানতে চায় এলাকাবাসী।
বিলাশবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর ইসলাম কেটু বলেন অবশ্যই খনন কাজ অব্যাহত রাখা উচিৎ। আমরা জানতে চাই বদলগাছীর ভূ-গর্ভে চুনাপাথর ছাড়া আর কি ধরনের খনিজদ্রব্য রয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা অলি আহমেদ রুমী চৌধুরী ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) কয়েকজন বিজ্ঞানীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন জনগণের ক্ষতি পুষিয়ে এখানে যে চুনাপাথরের যে মজুদ রয়েছে তা উত্তোলন করলে সাড়া দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানী সম্ভব। সেই সাথে এলাকার উন্নয়ন ঘটবে এবং ঘটবে দেশের উন্নয়ন। দেশের বৃহৎ স্বার্থ রক্ষার্থে খনন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা উচিৎ। কারন চুনাপাথর ছাড়াও এখানে কয়লা, তেল, গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।