আমজাত-গেসুর বিরুদ্ধে মোস্তফা কামালের সংবাদ সম্মেলন

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : ফতুল্লার রামারবাগে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গিয়াসউদ্দিন ওরফে কাইল্লা গেসু ও আজমত আলীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর এবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন একটি পক্ষের নেতৃত্বে থাকা ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল সহ অন্যান্যরা। রোববার (২৪ মার্চ) সাড়ে ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মোস্তফা কামালের পক্ষে রাজ্জাক বলেন, আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক স্পিড বোট ব্যবসায়ী মোস্তফা কামালের পরামর্শ চলি। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামের অনুসারী। জাতীয় নির্বাচনে শাহ নিজামের হয়ে এমপির পক্ষে কাজ করায় আমার ছেলে আজিমের উপর ক্ষিপ্ত ছিলো গেসু। নির্বাচনের পর তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিলো সে। আজিমের নামে তিনটি মামলা দিছের ফাসানোর চেষ্টা করেছে সে। স্কুল কমিটিগুলোতে প্রভাব বিস্তার না করতে পেরেও আমাদের উপর ক্ষিপ্ত ছিলো সে এবং তার বাহিনী। এই পূর্ব শত্রুতার জেরেই তাঁরা বাইরের এলাকা থেকে এসে আমাদের রামারবাগে হামলা করেছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা ঝুট ব্যবসার সাথে জড়িত নয়। গিয়াসউদ্দিন ওরফে কাইল্যা গেসু, তার ছোট ভাই জুট ব্যবসায়ী আজমত, মুরাদ, রাজিব, নজরুল, জসীম ও হেলাল রামারবাগ এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি বলেই দেশী ও বিদেশী অস্ত্র-সন্ত্র নিয়ে হামলা করেছে। তাঁরা রামারবাগে মাদকের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে কাজ করছিলো। আমার ছেলে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র। সে কিংবা আমি কেউই রাজনীতির সাথে জড়িতনা। আমরা শুধু মোস্তফা কামালের পক্ষে থাকাতেই এই হামলা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি। একই সাথে রামারবাগ এলাকায় নিরাপত্তা ও শান্তি ফেরানোর দাবি জানাই।

ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, এলাকায় হামলার পর ওসি মঞ্জুর কাদের তাকে ঘটনাটি জানায়। এরপর তিনি এলাকায় গিয়ে দেখেন আহতদের হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। হামলাকারীদের কেউ ওইসময় ছিলোনা। কামাল বলেন, তিনি প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতির সাতে জড়িতনা, স্পিড বোট বিক্রির ব্যবসা করেন । ১৯৮৪ সালে তোলারাম কলেজে পড়াকালীন সময়ে বর্তমান এমপি শামীম ওসমানকে চিনতেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আহত আজিমের ফুফু সেলিনা আক্তার, রওশন আরা, নুর বান, চাচী শাহীদা আক্তার, রহিমা আক্তার ও শিল্পী দাস সহ এলাকাবাসীরা।

প্রসঙ্গত, ফতুল্লা থানা কমিনিউটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল ও বিএনপি সমর্থক তৈয়্যব মিয়া একটি পক্ষ ও আওয়ামীলীগ নেতা গিয়াসউদ্দিন এবং আজমত আরেকটি পক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতা চলে আসছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে তাদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই নারী সহ ১৫ জন আহত হয়। এছাড়া এলাকার সাধারন লোকজনের শতাধীক বাড়ি ও দোকান ঘর ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় এক পক্ষের মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে সংঘর্ষের পর শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে আহত আজিমের বাবা গফুর মিয়া নামের এক ব্যক্তি ওই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় গিয়াসউদ্দিন ও আজমত সহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৩০ জনকে আসামী করা হয়।

মামলায় আসামী করা হয় আজমত আলী, গিয়াসউদ্দিন গেসু, মনির হোসেন মুরাদ, রাজিব, সজিব, জুয়েল, খন্দকার শাওন, জসিম, আশ্রাফ, ফয়সাল, রিপন, নাঈম, দেলোয়ার, শাকিল, হ্নদয়, শহিদ, ইমন, সোহেল, সানি, রাজু, তাহের আলী, সোলেয়মান, রহিম বাদশা, শামীম, ডালিমসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০জন।

add-content

আরও খবর

পঠিত