ফতুল্লায় সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, আটক-২

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা সংবাদদাতা ) : ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যপক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটেছে।  শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত ৯টার দিকে ফতুল্লার রামারবাগ শাহী মসজিদ এলাকায় আওয়ামীলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন এবং কমিনিউটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে আওয়ামীলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন গ্রুপের রাজিব ও ফয়সাল নামে দুই জনকে আটক করেছে র‌্যাব-১১।

হামলায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। উভয় পক্ষেরই বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। আহতদের মধ্যে ২ জনকে ঢাকা মেডিকেল ও ২ জনকে পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

এদিকে ঘটনার পর ফতুল্লা মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আওয়ামীলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন গ্রুপের পক্ষে অভিযোগ করেছেন রামারবাগ এলাকার আসন আলী সরকার ওরফে বুইদ্দা সরদার এর ছেলে মো. শহিদ (৪২)। অন্যদিকে মোস্তফা কামাল গ্রুপের মধ্যে অভিযোগ করেছেন লামাপাড়া এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল গফুর (৬৫)। আব্দুল গফুরের ছেলে আজিম (৩২), ভাতিজা আকাইদ (১৮) এবং ভাগিনা নাজমুল (৩০) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরতর রক্তাক্ত জখম হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।

আব্দুল গফুরের দায়েরকৃত অভিযোগে যুবলীগ নেতা আজমত আলী, আওয়ামীলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা মমিন হোসেন মুরাদ, রাজিব, সজিব, জুয়েল, খন্দকার শাওন, জসিম, আশ্যাফ, ফয়সাল, রিপন, নাঈম, দেলোয়ার, শাকিল, হৃদয়, শহিদ, ইমন, সোহেল, সানি, রাজু, তাহের আলী, সোলেমান, রহিম বাদশা, শামীম ও ডালিম সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

অন্যদিকে মো. শহিদ এর দায়ের করা অভিযোগে মো. মোস্তফা, মো. রাজ্জাক, মো. হাসেম, আল-আমিন, আলম, ইমু ও ফারুক মাদবর সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনকে আসামী করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ফতুল্লা থানা কমিনিউটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল এবং আওয়ামীলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতা চলে আসছে। এর মধ্যে শুক্রবার বিকেলে মোস্তফা গ্রুপের মাদক বিরোধী অভিযানের মিছিল চলাকালে তাদের মধ্যে রাত ৯টার দিকে উভয় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পরে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের মাত্র ৬জন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

স্থানীয় খানপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অমির রায় জানান, আহতদের অধিকাংশই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন। মাথায় ও পায়ে গুরুতর জখম হওয়া রোগীই বেশী। আমরা ৪ জনকে ঢাকায় রেফার্ড করেছি বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়ছে। জেলার অন্যান্য উপজেলা নির্বাচনের ডিউটিতে পুলিশ মোতায়েন করায় থানায় পর্যাপ্ত পুলিশ নেই। তাই কৌশলে পরিস্থিতি শান্ত করেছি।

add-content

আরও খবর

পঠিত