নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : ফতুল্লায় র্পুব শত্রুতার জের ধরে মা ও মেয়ে সহ বাড়ির মালিক এর স্ত্রী কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাহাজাহান গং এর বিরুদ্ধে । গতকাল দুপুরে গিরিধারা আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় শাহজাহান হাওলাদার (৫০) ও তার ছেলে মাসুম হাওলাদার (২৫) সহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে আকবর খানের স্ত্রী রহীমা, তার মেয়ে রাবেয়া এবং বাড়ির মালিক এর স্ত্রী শাহিদা আক্তার । এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী স্ত্রী রহীমার স্বামী আকবর আলী খান ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদীর সাথে জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে শাহজাহানের সাথে পূর্ব শত্রুতা রয়েছে এবং বিরোধীয় সম্পত্তিতে ১৪৫ ধারা জারি রয়েছে। এ জের ধরে বিবাদীরা বসতবাড়ির জায়গা জমি জোর পূর্বক জবর দখলের চেষ্টা করে করে আসছে। এ বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করলেও কোন সুরাহা হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় শাহজাহান ও তার ছেলে মাসুম সহ ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ির কর্তা আকবর খানের অনুপস্থিতিতে তাদের বসত বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে। একপর্যায়ে তারা আকবর খানের টিনসেট বসত ঘরে সাবল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা ও ভাংচুর করে লুটপাট চালায়। এসময় রহীমা ও তার মেয়ে রাবেয়ার উপর অতর্কিত এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে।
এসময় তাদের ঘরে থাকা খাট, শোকেস, আলমারি, টিভি, ফ্রিজ সহ সকল আসবাবপত্র ভাংচুর, ট্রাংকের ভিতর রক্ষিত ৪ ভরি ওজনের স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়, যার মূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা, নগদ প্রায় ৪০ হাজার টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট সহ প্রায় ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। ঐসময় বাড়ির মালিক মোবারক বাড়িতে না থাকায় তার স্ত্রী শাহিদা আক্তার আসলে তাকেও মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। এসময় তাদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করে সন্ত্রাসীরা চলে যায়।
এব্যাপারে ওই এলাকার মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজ্বী মো. শানু সহ স্থানীয় লোকজন জানান, শাহজাহান দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। বিভিন্ন সময় মানুষের জায়গা-জমি জবর দখলের চেষ্টায় সে মেতে উঠেছে। মোবারক এর জমি জবর দখল করার লক্ষ্যে সে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে এমনকি বর্তমানে তার বসত বাড়িটিও নিজের নয়। অন্যের জমি জবর দখল করে সে ভোগদখল করছে। স্থানীয়ভাবে এব্যাপারে কয়েকবার মিমাংসা করার চেষ্টা করলেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তাই আমরা পুলিশ প্রশাসনের সহযাগীতা কামনা করছি।
এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার এ.এস.আই আজিম হোসেন বাবুল এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, শাহজাহান ও তার ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।