নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি ডাইং কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা স্থলে সেলিম নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে। অন্য এক শ্রমিক আব্দুল্লাহ দগ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসাধীন রয়েছে।
৬ অক্টোবর শনিরবার ভোর ৫টায় ফতুল্লার দক্ষিন শিহাচর লালখা খানকার মোড় এলাকায় অবস্থিত আল নাসির ওয়াশিং ডাইং নামে কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপর মালিক পক্ষ কারখানার গেইট তালাবদ্ধ করে আত্মগোপন করেন।
নিহত সেলিম মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখান থানাধীন রোশনিয়া এলাকার বাবুল খানের ছেলে। সে কাজের সুবাধে লালখার জনৈক রফিকের সেম বাসায় ভাড়ায় বসবাস করত। শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। অপর আহত শ্রমিক আব্দুল্লাকে ঢামেক হাসপাতালে জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর ৫টায় বিকট শব্দ হয়। এতে আশ-পাশের বাড়ি ঘরের লোকজনের ঘুম ভেঙ্গে যায়। এ সময় চিৎকারের শব্দ শুনে দৌড়ে এসে দেখি সেলিম ও আব্দুল্লাহ নামে দুই শ্রমিককে মুমূর্ষ অবস্থায় কারখানা থেকে নিয়ে যাচ্ছে মালিক পক্ষের লোকজন। এরপর কারখানার গেইটে তালা দিয়ে মালিকপক্ষও চলে যায়। বাহির থেকে দেখা যায় কারখানার টিনের চাল বিস্ফোরণে উড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ কারখানার জমির মালিক শাহ আলমের সঙ্গে দেখা হলেও সে কোন উত্তর না দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
তারা আরো জানান, শাহ আলম ডাইং কারখানার জমিটি ভাড়া দিয়েছে এক ব্যক্তির কাছে। সেই ব্যক্তির নামে কারখানাটির নাম রাখা হয়েছে। আহত শ্রমিকদের কি অবস্থা তা কেউ বলতে পারেন না।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গন্যমাধ্যমকে জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বয়লার বিস্ফোরণের পরপরই কারখানার অন্যান্য শ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন সেলিম (৩০) ও আব্দুল্লাহ (২০) নামে দুই শ্রমিককে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে সেলিমের অবস্থা আশঙ্কা জনক ছিল। পরে বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ১০টার দিকে মৃত্যু বরণ করে। অপর আহত শ্রমিক আব্দুল্লাকে জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সে এখন শঙ্কা মুক্ত আছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানতে পেরেছি।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে।