নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ফতুল্লায় পরিত্যক্ত জায়গায় আইসক্রিমের বাক্স থেকে নবজাতক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মুসলিমনগর পূর্ব পাড়া এলাকার মৃত হযরত আলী মাদবর ও সিদ্দিকের বাড়ির মধ্যবর্তীস্থানে শিশুটির সন্ধান পাওয়া যায়। শিশুটিকে পুলিশী তৎপরতায় নারায়ণগঞ্জ ১০০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১২ আগস্ট রোববার রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় নিয়ে আসার পর অফিসার ইনচার্জ শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের পিপিএম শিশুটিকে পুলিশ সদস্য ময়েজ আহম্মেদের কাছে তুলে দিয়েছেন। জানা গেছে, বিকেলে আইসক্রিমের বাস্কের ভেতর থেকে ভেসে আসছিল কান্নার শব্দ। বাড়ির পেছনে দুটি শিশু ছুটে গিয়ে সেই আইসক্রিমের বাক্স খুলতেই তারা দেখতে পেল রক্তমাখা একটি নবজাতক। ফুটফুটে একটি শিশু। তার পিতৃ বা মাতৃ পরিচয় নেই। শিশুটির নাড়ীও ঠিক মতো কাটা ছিল না। শরীরে লেপ্টে ছিল ভুমিষ্ট হওয়ার মায়ের রক্ত।
এসময় সিদ্দিক মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়ির টয়লেটের ভেন্টিলেটরসহ কয়েকটি স্থানে রক্তের দাগও দেখতে পায় এলাকাবাসী। তবে নবজাতকটি কার ঘরে জন্ম নিয়েছিল তা নিশ্চিত হতে পারেনি কেউ। ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শাফিউল আলম জানান, খবর পেয়ে মুসলিমনগরের হযরত মিয়া ও সিদ্দিক মিয়ার বাড়ির মধ্যবর্তী খালি জায়গা থেকে ওই একদিন বয়সী নবজাতকটিকে উদ্ধার করা হয়। কোনো পাষণ্ড ওই নবজাতকটিকে ফেলে গিয়েছিল। নবজাতকটির শরীরে নাড়ও কাটা হয়নি।
এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের পিপিএম বলেন, শিশুটিকে যারা জন্মের পরে ফেলে দিয়েছে তারা বনের পশুকেও হার মানিয়েছে। শিশুটির বৈধ কোন অভিভাবক পাওয়া যায়নি। বেশ কয়েকজন শিশুটিকে নিতে চেয়েছিলেন। এর মধ্যে পুলিশ সদস্য ময়েজকে অন্যদের চাইতে অভিভাবক হিসেবে যোগ্য মনে করা হয়েছে। তাই জিডি মূলে তাঁর কাছে শিশুটিকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। বাবা-মায়ের দায়িত্ব তারা পালন করবে বলে অঙ্গিকার করেছেন। শিশুটিকে একজন চিকিৎসক দেখানোর জন্য ময়েজকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।