প্রয়োজনে হকার্স মার্কেট গুড়িয়ে দিয়ে মাঠ বানাবেন আইভী

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪: বছরের একেবারে শেষ সময়ে এসে হঠাৎ করে সরগরম হকার ইস্যু। বিষয়টিকে মারদাঙ্গা করে তুলতে কেউ কৌশলী, কেউ সরাসরি, কেউ ইনিয়ে বিনিয়ে হকারদের আন্দোলনে ঘি ঢালছেন।

তবে হকাররা কোন দিশা পাচ্ছেন না। আসলে তারা কি করবেন। ডিসি-এসপি ও মেয়রকেও স্মারকলিপি দিয়েছেন। সমাবেশ করে হুশিয়ারী উচ্চারন করেছেন। বসতে না দিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবেন। কিন্তু কোন কর্ণপাত নেই সংশ্লিষ্টদের। আবার নিয়মিত যাদের মাসোহারা দিয়ে এসেছেন সেই কুশিলবদেরও প্রকাশ্যে পাশে পাচ্ছেন না হকাররা। শেষ পর্যন্ত কী হবে? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সাধারণ হকাররা। আর পর্দার আড়ালে চলছে নানা হিসেব-নিকেষ। কেউ প্রতিদিন, আর কেউ মাসে মাসে ফুটপাতের টাকা নিয়েছেন। তারা চিন্তিত নতুন বছরের শুরুতে। কারণ নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী হকার ও বাম দলের নেতাদের পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন কোন ভাবেই বঙ্গবন্ধু সড়কে হকার বসতে দেয়া হবে না। এতে ডিসি-এসপি বিরুদ্ধেও তিনি যেতে রাজি আছেন নগরবাসীর জন্য। শুধু তাই নয়, তিনি এও বলছেন, প্রয়োজনে চাষাড়ায় করে দেয়া হকার্স মার্কেট তিনি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে মাঠ বানাবেন। সেই মাঠে শিপটিং করে হকার বসাবেন। তবুও কোন প্রকার ছাড় নয়। হকার বিষয়ে মেয়র আইভীর মনোভাব জানতে চাইলে এভাবেই তিনি তার মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ২০১১ সালে হকার্স মার্কেট করে দিয়েছি। ফুটপাত হকার মুক্ত রাখতে সেই মার্কেটে হকারদের পুর্নবাসন করেছি। কিন্তু হকার্স মার্কেটে দোকান বরাদ্দ পেয়ে সেই দোকান বিক্রি বা অন্যের কাছে ভাড়া দিয়ে এখন আবার ফুটপাতে নেমেছে। আবার বলে ওই মার্কেটে ক্রেতা যায় না। এই যদি হয় অবস্থা তাহলে হকার্স মার্কেট রেখে লাভ কি? ভেঙ্গে মাঠ বানিয়ে ফেলবো। সেখানে অনেক হকার বসতে পারবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, দেখেন এই শহরের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে মেয়র বানিয়েছে। লাখ লাখ টাকা খরচ নগরবাসীর স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলের জন্য ফুটপাত বানানো হল। সেই ফুটপাত সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হকাররা দখল করে রাখে। মানুষ হাটতে পারে না। তাহলে মুষ্ঠিমেয় এই সকল হকারদের জন্য তো আমি লাখ লাখ শহরবাসীকে কষ্ট দিতে পারি না। এটা ঠিকও হবে না। হকাররা গরীব, অসহায়, তা আমি জানি। কিন্তু তাই বলে তো অন্যায় আবদার মানা যায় না।

ডা. আইভী বলেন, রোববার হকার ও বামদলের কয়েকজন নেতা আমার কার্যালয়ে গিয়েছিল। তাদের সামনে আমি বলেছি, ডিসি এসপির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। শুক্র ও শনিবার বিকল্প কোন জায়গা যেমন এই জিমখানা মাঠ, ঈদ গাঁ, অথবা খানপুর হসপিটালের সামনে বিশাল বড় জায়গায় মার্কেট বসবে। আমার সিটি কের্পারেশনের সামনেও বিশাল জায়গা। সেখানেও হকাররও বসতে পারে। পৃথিবীর বহু স্থানে ফ্রাইডে, স্যাটারডে মার্কেট হয়। এবং সেখানে পাবলিক যেতে বাধ্য। আমরা ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি ঢাকার বঙ্গ বাজেরর কথা। এখনো ওখান থেকে আমরা শপিং করি। সেটা কি চলে না! ঠিক এভাবেই এরা যেখানে বসবে পাবলিক সেখানেই আসবে।
উল্লেখ গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে হকার উচ্ছেদ করা হয়। ফাঁকা ফুটপাতে হাটতে গিয়ে সাধারণ মানুষ স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলছে। তারা সাধুবাদ জানাচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।

add-content

আরও খবর

পঠিত