পরকীয়ার টানে ভাইস চেয়ারম্যানের মেয়ে মিতুর আাবারো পালায়ন

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪  : পরকীয়ার সূত্র ধরে দুই সন্তানকে রেখে ঘর ছাড়ে মিতু। পরে প্রেমিককে বিয়ে করে সংসারী হন। কিন্তু এ নিয়ে মিতুর প্রথম স্বামী ও পরকীয়া প্রেমিকের দ্বিতীয় স্ত্রীর পাল্টাপাল্টি মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ এক মাসের মাথায় মিতুকে উদ্ধার করে। পরে আদালতে জবানবন্দি শেষে মিতুকে তার ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেয় আদালত।

তবে এখানেই এর শেষ নয়। তুলকালামকান্ডে আবারো সমালোচনায় নারায়ণগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষকলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিনের মেয়ে নাজিয়া আক্তার মিতু। পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে আবারও পালিয়েছে সেই মিতু। সূত্রে জানাগেছে, তালাক দেয়া স্বামী ইউসুফের রূপায়ন টাউনের বাড়ি থেকে সোমবার (২৮ মে) সকালে সে পালিয়ে যায়। যা মঙ্গলবার (২৯ মে)  সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

আরো জানা গেছে, মিতু পালিয়ে আসার কারণে ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনের লোকজন নিয়ে তাঁরা পূর্বের স্বামী ইউসুফ মিয়া, মিতুর বর্তমান স্বামী আবুল হোসেন সজিবের গোদনাইল এলাকার বাড়িতে এসে মঙ্গলবার সকালে হুমকি দিয়ে যায়। এতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করে একই দিন উল্লেখিত থানায় ইউসুফ মিয়া, সাদ্দাম ও কায়েসের নাম উল্লেখ করে একটি জিডি করেন। যার নং ১২৭৪।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ২১ মে আদালতে জবানবন্দী দিয়ে বের হওয়ার পর আদালত পাড়া থেকে তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধে আটকে রাখা হয়েছিলো। আদালত তাঁকে নিজ জিম্মায় জামিন দিলে সে তাঁর বর্তমান স্বামী আবুল হোসেন সজিবের কাছে যেতে চাইলে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সে বন্দিদশা থেকে পালিয়ে এলেও তাঁর পূর্বের স্বামী দলবল নিয়ে বর্তমান স্বামীসহ পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে যায়। এতে সে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনের পালিত মেয়ে ও ভূইগড় রূপায়ন টাউনে বসবাসকারী ইউসুফ মিয়ার স্ত্রী দু সন্তানের জননী নাজিরা আক্তার মিতুর সাথে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে এক সন্তানের জনক আবুল হোসেন সজিবের পরকীয়া চলছিলো। এ ঘটনা সজিবের স্ত্রী সায়মা আক্তার জানতে পেরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের বরাবর গত বছরের ২৩ আগষ্ট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

সজিবের স্ত্রীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মতিয়ার রহমান উভয় পক্ষকে ডেকে শাসিয়ে দেন এবং কেউ কারো সাথে সম্পর্ক রাখবে না, সজিবের কাছ থেকে এমন লিখিতও গ্রহণ করেন বলে সজিবের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

এরপরও নাজিরা আক্তার মিতু ও আবুল হোসেন সজিবের মধ্যকার পরকীয়া প্রেমের ইতি ঘটেনি। বরং তাঁদের মধ্যে এই সম্পর্ক চলমান ছিলো। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল দুই সন্তান ও স্বামী রেখে নাজিরা আক্তার মিতু পালিয়ে যায়। এতে সজিবকে সন্দেহ করে ২৯ এপ্রিল ফতুল্লা থানায় ডায়েরী করে মিতুর স্বামী ইউসুফ মিয়া। ডায়েরি নং ১১১৬। অপরদিকে সজিবের ভাই সালাউদ্দিনও ২৮ এপ্রিল একই থানায় একটি ডায়েরি করেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন তাঁর ভাইকে অপহরণ করা হয়েছে। ডায়েরি নং ১৫৪৫।

add-content

আরও খবর

পঠিত