নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ রবিউল স্মৃতি সংসদের সভাপতি এটিএম কামাল বলেন, পতিত স্বৈরাচারের প্রেতাত্মাদের দু:শাসনে জাতি আজ দিশেহারা। গণতন্ত্র হত্যা করে অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য স্বৈরাচার এরশাদ নব্বই এর গনঅভ্যূত্থানে এদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষদের হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, সেই হত্যাকাণ্ডের জন্য তার অবশ্যই মরণোত্তর বিচার করতে হবে। এখন যারা অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত বিরোধী নেতাকর্মীদের গুম-খুন, হামলা-মামলা ও গ্রেফতার করছে তাদেরকেও একদিন এদেশে জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) নব্বই এর গনঅভ্যূত্থানে নিহত শহীদ রবিউলের ২৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে রবিউল স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনায় মাসদাইর কবরস্থানে তার সমাধিতে ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীদের এটিএম কামাল এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগর শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক মনির মল্লিক, ফজলুল হক, রবিউল স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, রবিউল স্মৃতি সংসদের উপদেষ্টা শহীদ রবিউলের পিতা আনোয়ার হোসেন, শহীদ রবিউলের ছোট ভাই মো.রফিকুল ইসলামসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
উল্লেখ্য, ৯০-র ২৭ নভেম্বর এরশাদ সারাদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আপামর জনতা, ছাত্র ও শ্রমিকরা প্রতিদিন বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করার জন্যে ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টায় পুলিশ শহরের ২ নং রেল গেটের কাছে মিছিলে গুলি করে। গুলিতে মিছিলের অগ্রভাগের দর্জি শ্রমিক রবিউল গুরুতর আহত হয়।
পুলিশ আহত অবস্থায় রবিউলকে থানায় নিয়ে পৈশাচিক উল্লাসে পেটালে সে সেখানেই মারা যায়। পুলিশ রবিউলের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া ঐ রাতেই মাসদাইর গোরস্থানে কবর দেয়। রবিউলের দরিদ্র পিতা আনোয়ার হোসেন নারায়ণগঞ্জ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিমল বণিক ও দারোগা হানিফ-এর বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলেও বিভিন্ন চাপের মুখে করতে পারেনি।