নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( প্রেস বিঞ্জপ্তি ) : আসন্ন পবিত্র ঈদ উল আযহার পূর্বে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, বিটিএমইএ সহ আরএমজি সেক্টরের সদস্য প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপিকে আশ্বস্থ করেছেন সংগঠনটির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।
রোববার ২২ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদ-উল আযহা ২০১৮ উপলক্ষ্যে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, শিল্পাঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করণীয় ও প্রাসঙ্গিক মতবিনিময় সভায় এ আশ্বাস প্রদান করেছেন এমপি সেলিম ওসমান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বিকেএমইএ এর প্রতিনিধিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসামন যিনি বাংলাদেশের নীট গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ এর সভাপতি।
সেলিম ওসমান আরো বলেন, ঈদের পূর্বে বিকেএমইএ এর সকল সদস্যভুক্ত কারখানাগুলো শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ সহ অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা-শ্রমিক আলোচনার ভিত্তিতে উদ্ভূত সমস্যা সমাধান করবেন। শিল্পাঞ্চল সমূহের সার্বিক নিরাপত্তা এবং যানজট নিরসনে বিকেএমইএ এর সদস্যভুক্ত কারখানা গুলোকে ঈদ-এর আগ পর্যন্ত ধাপে ধাপে শ্রমিকদের ঈদ-ছুটি প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, বিটিএমএ এর সদস্য ভুক্ত নয় এমন কারখানার সংখ্যা প্রচুর। শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স ব্যবহার করে এরূপ কারখানা সমূহের অনেকেই গার্মেন্টস্ বা নীটওয়্যার নাম ব্যবহার করে নতুন বাজারে ব্যবসা পরিচালনা করছে। যেহেতু, নি¤œমানের তৈরি পোশাক নাম মাত্র মূল্যে রপ্তানি করে এই সকল নতুন বাজারে রপ্তানি পরিবেশ নষ্ট করছে। এর ফলে, প্রকৃত রপ্তানিকারকরা নতুন বাজারে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। শ্রমিকদের দেনা-পাওনা পরিশোধের ক্ষেত্রে এসকল কারখানা সমূহে ধারাবাহিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যে কারণে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে বিকেএমইএ, বিজিএমইএ বা বিটিএমএ এর কিছুই করার থাকে না। উপরন্তু এইসব কারখানা গুলো সঠিক কমপ্লায়েন্স অনুসরণ না করার কারণে যে কোনো দূর্ঘটনার শিকার হতে পারে।
তিনি এসব কারখানা গুলোর সদস্য পদ গ্রহণ বা ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ সম্পর্কিত নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। সিটি কর্পোরেশনের অধীনে ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিকেএমইএ অথবা বিজিএমইএ বা বিটিএমএ এর সুপারিশ সাপেক্ষে লাইসেন্স প্রদান করার ব্যাপারে মতামত দেন। তিনি আরও বলেন, বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, বিটিএমএ এর সদস্যভুক্ত না হলে কোনো প্রতিষ্ঠান গার্মেন্টস্ বা নীটওয়্যার নাম ব্যবহার করতে দেয়া ঠিক হবে না এবং কারখানায় শ্রমিক সংখ্যা ৫০ বা এর অধিক হলেই উক্ত কারখানাকে বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, বিটিএমএ এর সদস্যভুক্ত হওয়া দরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিকেএমইএ এর সভাপতি মহোদয়ের উত্থাপিত বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তার সাথে একমত পোষণ করেন। সামগ্রিক বিষয়গুলো সমন্বয়ের জন্য স্বরাষ্ট্রমান্ত্রণালয় হতে সুপারিশ আকারে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়কে প্রেরণ করবে বলে জানান।
উক্ত সভায় বিকেএমইএ এর প্রথম সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ, বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি এম.এ মান্নান কচি, মহাপুলিশ পরিদর্শক এ.কে.এম শহীদুল ইসলাম, পুলিশ কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।