নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর সোমবার সকাল এগারোটায় ফতুল্লাস্থ বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় নিজস্ব কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিম সারোয়ারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি আবু তাহের শামীম, সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম চেঙ্গিস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাংবাদিক সেলিম ওমরা, শ্যামল সাহা।
এসময়আরোও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল বাশার, সহ-সভাপতি নিজাম মুন্সী, মাহবুবুর রহমান শাহীন, পরিচালক নির্মূল চক্র রায়, গোলাম মাওলা, জাহিদুল আলম, মজিবুর রহমান, আক্তার হোসেন, নুর ইসলাম, কোরাইশ মল্লিক, খাইরুল ইসলাম, আবুল হোসেন, আকবর হোসেন, শাহরিয়ার জুয়েল, আবু জাফর, এনামুল হাফিজ, জাকির হোসেন, আবু সাঈদ, আলী রেজা, মোঃ জামানসহ বিশিষ্ট নিটিং ও গার্মেন্ট ব্যবসায়ী বৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে সেলিম সারোয়ার বলেন, কিছু নামধারী নিটিং ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত মূল্যের কমে কাজ করায় তারা নিজেরাও দেউলিয়া হয়ে অন্য নিটিং ব্যবসায়ীদের কেউ চরম ক্ষতি করছে। গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণের সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে আমরা আরও কঠিন পদক্ষেপ নিবো নিটিং শিল্প রক্ষার সাথে। আর যারা নির্ধারিত মূল্যের কমে এ কাজ করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি নিটিং শিল্প শিল্পকে রক্ষার স্বার্থে বিকেএমইএর ও এফবিসিসিআইর নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নিটিং মালিকদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ না থাকায় কোন কোন ব্যবসায়ী কম মজুরীতে কাজের অর্ডার হাতিয়ে নিচ্ছেন। যে মজুরীতে তারা অর্ডার নিচ্ছেন সে মজুরী তাদের লাভ তো দূরের কথা প্রায় ৩-৪ টাকা লোকসান গুনতে হয়। অথচ নিজে টিকে থাকতে কিছু ব্যবসায়ী কম মজুরীতে গার্মেন্টেসের মালের অর্ডার নিয়ে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের পথে বসাচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, অনেক গার্মেন্ট ব্যবসায়ী অর্ডার দিয়ে অর্ধেক বা তারও বেশি মজুরী বাকি রেখে মাল তৈরী করে নিয়ে যায়। এ মজুরী দেই দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপন করেন। নির্ধারীত সময়ে মজুরী না পেয়ে অনেকেই কারখানা বন্ধ করে অন্য ব্যবসায় চলে গেছেন। এভাবে গত ৬ মাসে নারায়ণগঞ্জসহ দেশে প্রায় অর্ধশত নিটিং কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।