নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : এবার ঈদ-উল আযহায় পশুর চামড়া ব্যবসায় নায্য দাম না পাওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ফতুল্লা স্টেডিয়াম সংলগ্নে ময়লার ভাগাড়ে দুই শতাধিক কোরবানির পশুর চামড়া এনে ফেলে রাখা হয়েছে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে পাশে টানা দুই দিন ধরে চামড়া পরে থাকায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারন মানুষ।
১৪ আগস্ট বুধবার বিকালে দেখা যায়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার লামাপাড়া এলাকায় খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় স্টেডিয়ামের পাশে দুই শতাধিক চামড়া স্তূপ আকারে পড়ে আছে। এরই মধ্যে চামড়াগুলোতে পঁচন ধরায় তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। পরিবেশ চরমভাবে দূষিত হচ্ছে। একই সাথে সেখানে দুই তিনটা মরা গরুও পড়ে থাকতে দেখা যায়। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সীমানা তোরণের ঠিক নিচেই চিত্রটা দেখা গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীসহ পথে নিয়মিত চলাচলকারী সাধারণ মানুষ দ্রুত এর সমাধানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলা প্রশাসন একে অপরকে দূষছেন। কেউই দায়ভার নিচ্ছেন না।
স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনে এবার লোকসানের মুখে পড়েছেন। চামড়ার দাম এতটাই নিচে নেমে এসেছে যে অনেকেই কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রিই করতে পারেননি। যে চামড়া গেলো বছর তিন থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই চামড়ার মূল্য এবার দু’শো থেকে তিন শত টাকা বলছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। যার কারনে ক্ষুব্ধ হয়ে অনেকেই চামড়া বিক্রি না করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে নিয়ে ফেলে দিয়ে গেছেন।
এছাড়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষরা যারা চামড়া নিয়েছেন তারা এগুলো বিভিন্ন স্থানে মাটি খুড়ে চাপা দিলেও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা তা না করে চামড়াগুলো এই সড়কের পাশে এনে ফেলে গেছেন। এতে করে এই দুর্গন্ধে মানুষের অসুস্থ হবার অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়ভাবে পরিবেশের চরম বিপর্যয়ও ঘটছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী রমজান আলী জানান, এভাবে ময়লা আবর্জনার সাথে চামড়াগুলো ফেলা ঠিক হয়নি। দুর্গন্ধে টিকা যায় না এদিকে। গতকাল তবুও গন্ধ কম ছিল কিন্তু আজ একেবারেই খারাপ অবস্থা। দ্রুত এটি অপসারণ না করলে এ পথে চলাচল করা দুস্কর হয়ে উঠবে।
এদিকে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক বলেন, আমি সংবাদটি পেয়েছি। আমার কাছে এ ব্যাপারে বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেছে। এটা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে পড়েছে, তবুও আমি সেখানে যাবো।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহ এহতেশামুল হক জানান, এটি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বাইরে ইউনিয়ন পরিষদের অধীনের জায়গায় পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি, আমার সিটি করপোরেশনের মধ্যে কোনো আবর্জনা নেই। যদি সিটি করপোরেশন এলাকার ভেতরে এমন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে আমাকে জানালে আমরা সাথে সাথেই তা পরিষ্কার করে দেব। যদি তারা আমাদের কাছে সহযোগিতা চায় তাহলে আমরা সহযোগিতা করবো। এটার পাশেই নম পার্ক ও ফতুল্লা স্টেডিয়াম কিন্তু এগুলোতে তো আমাদের নাসিকের কোন হোল্ডিং নাম্বার নেই। আমরা আমাদের সীমানা সম্পর্কে অবহিত রয়েছি।