নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : সারাদেশে ডাকা বাংলাদেশ হেফাজত ইসলামের হরতালকে পুঁজি করে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে জ্বালাও-পোড়াও করে ভিন্ন দিকে দাবিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে দুর্বিত্তরা। রবিবার (২৮ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় গাছের গুড়ি ও টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে মহাসড়কে অবস্থান নেয় হরতাল সর্মথনকারীরা। এছাড়াও হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থানে বন্ধ হয়ে যায় সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোড, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড, কাঁচপুর, ঢাকা সিলেট ও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক।
তবে শহরে পুলিশ-র্যাব-বিজিবির কড়া অবস্থানের কারণে কোনো মিছিল বের হতে পারেনি। ভোরে ফজরের নামাজের পর থেকে জেলার হেফাজতের নায়েবে আমির আব্দুল আওয়ালের নেতৃত্বে ডিআইটি মসজিদে মুসুল্লিদের একত্রিত হতে দেখা গেছে। তবে দুপুর গনিয়ে আসলেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে একাধিকবার আলোচনার পর শান্তিপূর্নভাবে হরতাল পালনের কথা জানান আব্দুল আওয়াল। তাছাড়া এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত প্রশাসনের শক্ত অবস্থানের কারণে যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক ছিল।
অন্যদিকে যেসব এলাকা ও মহাসড়কে রাস্তায় টায়ার ও কাঠের ঘুড়িতে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছে হরতাল সর্মথকরা সেখানেও কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ, বিজিবির সদস্যরা। এ বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নারায়ণগঞ্জ শহর সহ অন্যান্য এলাকায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দোকানপাট কিছু বন্ধ থাকলেও পরিস্থিতি একবোরেই স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা হেফাজতে ইসলামের জেলার নায়েবে খতিব আওয়াল সাহেবের সাথে কথা বলেছি, বারবার আলোচনা করেছি। তিনিও আমাদের সাথে কথা দিয়েছেন কোন অশৃঙ্খলা হবে না। শান্তিপূর্ণভাবেই অবস্থান নিবেন। তবে আমরা এখন জনসমাগম কমিয়ে দিয়েছি। তাছাড়া সকাল থেকে জেলায় তেমন কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির খবর পাওয়া যায়নি৷ দুয়েকটি স্থানে অবরোধ করেছিল, তবে তা নিয়ন্ত্রণে এনেছে পুলিশ৷ সারা জেলায় ৫৮৫ জন পোশাকে এবং আরও ২০০ সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ এছাড়া ব়্যাব ও বিজিবির সদস্যরাও হরতালের ডিউটিতে রয়েছে৷