না.গঞ্জে বেপরোয়া নাম্বার প্লেটহীণ মোটর সাইকেল চালক, হয়রানীতে বৈধরা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিবেদক ) : নারায়ণগঞ্জ শহর জুড়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নাম্বার প্লেটহীণ মোটর সাইকেল চালকরা। অলি-গলি থেকে শুরু করে সড়কের বিভিন্নস্থানে তাদের নিয়ন্ত্রহীণ গতি আর হাইড্রলিক হর্ণের শব্দে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ। তবে শহরে ওইসব চালকরা দাবড়িয়ে বেড়ালেও, হয়রানীর শিকার হচ্ছে নাম্বার প্লেটযুক্ত বৈধ চালকরা।

এমন অভিযোগ তোলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের জামতলা এলাকার একজন মোটর সাইকেল চালক বলেন, প্রতিদিনিই পেশাগত কারণে এ শহরের সড়ক দিয়ে দু-চারবার যাতায়াত করতে হয়। আমার মোটর সাইকেলের সমস্ত বৈধ কাগজপত্র রযেছ্। ড্রাইভিং লাইসেন্সও বহু আগে থেকেই করা। তারপরেও কিছু কিছু মোড়ে কনস্টেবলদের অবান্তর প্রশ্নের সম্মূখীন হতে হয়। আর অন্যদিকে দেখি সেসব কনস্টেবলরাই যাদের মোটর সাইকেলের নম্বর প্লেটই নাই, তাদেরকে ছেড়ে দিচ্ছে। আবার কারো গাড়ি দূর থেকেই টার্গেট করা হচ্ছে। আবার ছেড়েও দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এসবের মধ্যে অধিকাংশই যাদের মোটর সাইকেলের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে তারাই দাপটে চলছে। আর আমরা তাদের জন্য হয়রানির শিকার হচ্ছি।

হাজিগঞ্জ এলাকার আরমান নামে এক মোটর সাইকেল আরোহী জানান, পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় সামনে দিয়ে নাম্বার প্লেটবিহীন চালকরা যায় আর আসে। কোনটা চুরির মোটর সাইকেল আর কোনটা সত্যিকারই তার, এ নিয়ে কোন চালকেরই বাধার সম্মূখীন হতে হয় না। এজন্য চোরেরাও স্বস্তিতে আছে।

অভিযোগ রয়েছে, অনেক গাড়িতেই আবার ব্যবহার করা হচ্ছে সাংবাদিক পরিচয়ের প্রেস স্টিকার, আইনজীবী, পুলিশ, মানবধিকারকর্মীর সাইনবোর্ড। যেসব গাড়ি’র অধিকাংশে যেমনি ন্ইে নাম্বার প্লেট। আবার কারো কারো নেই ডাইভিং লাইসেন্স কিংবা রেজিস্ট্রেশন। ফলে এসব মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন না থাকায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। সেই সাথে খুন ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধ সংঘটিত করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে ওইসব মোটর চালকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহীদ মিনার, পপুলার হাসপাতাল, চাষাড়া নুর মসজিদ, খানপুর, শেখ রাসেল পার্ক, সান্তনা মার্কেটের নিচে ও বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও পাড়া মহল্লায় এমনকি গ্যারেজগুলোর সামনে নাম্বার প্লেট বিহীন অসংখ্য মোটরবাইক দেখা যায়। কোন কোন চালক ট্রাফিক আইন না মেনে দ্রুতগতিতে চলে যাচ্ছে। নগরীরর বিভিন্নস্থানে দামি ব্র্যান্ডের ১০০ সিসি থেকে ১২৫ সিসির ডিসকভার, টিভিএস, বাজাজ, হিরো হোন্ডা সহ ১৫০-১৬০ সিসি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দীর্ঘদনের ব্যবহৃত দামি মোটরসাইকেলর নাম্বার প্লেটের স্থানে পুরো ফাকা কিংবা অনটেস্ট লিখাতেই চলছে।

এ বিষয়ে কথা হলে বিআরটিএ কর্মকর্তা জানান, আমার জানা মতে নারায়ণগঞ্জ রেজিসেট্রশন বিহীন মোটরসাইকেল চলাচল করে না। যদি ও থাকে তাহলে সেগুলো হতে পারে অন-টেস্ট, নতুন বাইক গুলো যখন কেনা হয় তখন লাগানো থাকে। আমরা সপ্তাহে দুই বার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে রোধ করার চেষ্টা করি।

সড়কে দায়িত্বরত কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমরা মোটর সাইকেলসহ যেকোন অবৈধ যানবাহনকে মামলা করে থাকি। আর তাই অবৈধ বাইকগুলো গুলোর চলাচল আগের থেকে ও অনেক কমে গেছে। তবে যারা বেপরোয়া রয়েছে আমাদের নজরে আসলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

add-content

আরও খবর

পঠিত