নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিবেদক ) : সুদূর চীনের করোনা ভাইরাস এর কোন সংক্রমন নেই বাংলাদেশে। তবে কতিপয় লোকের গুঞ্জনে দেশে ছড়িয়েছে আতংক। যার প্রভাব পড়েছে একসময় শুধুমাত্র প্রয়োজনে ব্যবহার হওয়া মাস্ক (মুখোশ) এর উপর। চাহিদা বেড়েছে ধুলোবালি ও সার্জিক্যাল মুহুর্তে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে মুখে ব্যবহৃত সেসব মাস্কের। আর এ সুযোগকে পুজিঁ করে মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এক শ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ী। গতকাল এমনই চিত্র দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ফার্মেসী ও ফুটপাতে ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের দোকানীগুলোতে।
সাধারণ ক্রেতারা জানায়, চীনের করোনা ভাইরাস এর কারণে আমরা কিছুটা আতংকিত। তাই সাবধানতা অবলম্বন করার জন্যই আসলে মাস্কের দোকানে কিনতে আসা। তবে এসব মাস্ক এর মূল্য আগের তুলনায় দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার কেউ কেউ যা ইচ্ছে মূল্যেও ক্রেতাদেরে ঠকাচ্ছে বলেও অভিযোগ করে ক্রেতা সাধারণ।
শহরের ফুটপাতে ঘুরে বিক্রি করা দোকানীতে সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন শিল্পকারখানায় ওয়েস্টেজের টুকরো থান কাপড়ের তৈরী মাস্কগুলো যেখানে প্রতি পিস ৫ টাকা থেকে সবোর্চ্চ ১০টাকায় বিক্রি হত, সেটা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০টাকায়। আরো একটু ভালো মানের (নেট) মাস্ক এর মূল্য ৫০ থেকে ৬০টাকা। যা পুর্বে মূল্য ছিল মাত্র ৩০টাকা।
অপরদিকে বিভিন্ন ফার্মেসী বা স্টলে বিদেশি ফিল্টার মাস্ক ও সার্জিক্যাল মাস্ক সহ নানা ধরণের মাস্কের সমাহার দেখা যায়। যেগুলোর মান অনুযায়ী মূল্য র্নিধারণ করা হয়েছে। যেখানে সর্বনিম্ন ম্ল্যূ ১৫ টাকা থেকে সবোর্চ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে।
তবে বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি করা বিদেশি ফিল্টার মাস্ক বাজারে নেই বললেই চলে। এই সংকটের কারণে ফিল্টার মাস্ক খুচরায় ৩০ থেকে ৫০ টাকার বদলে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। সার্জিক্যাল মাস্কগুলো সাধারণত চীন থেকেই আমদানি হয়। কিন্তু এখন চীনে করোনা ভাইরাসের কারণে আমদানি আপাতত হচ্ছেনা। তাই মাস্কের পাইকারী এবং খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েছে। তাই এর সাথে তাল মিলিয়ে অন্যান্য মাস্কের মূল্য ও অটোমেটিক সকলেই বাড়িয়ে দিয়েছে।
মাস্ক ব্যবহারকারী আল-আমীন জানান, পরিবারের সবাই স্বাস্থ্য সচেতনতায় আগে থেকেই মাস্ক ব্যবহার করে। কিন্তু এখন করোনাভাইরাসের আতংকের কারণে আরেকটু বেশি সচেতন হয়েছে সবাই। তবে যে মাস্ক নিয়মিত ৫ টাকায় কেনা হতো সেগুলো এখন বেড়ে ১০ টাকা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে মুনাফা বাড়ানোর সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে। আমার মনে হয় না দেশে মাস্কের সংকট আছে।