নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিবেদক ) : নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর ৩শ শয্যা বিশিষ্ট করোনা হাসপাতালে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে করোনা টিকা নেওয়া এবং করোনা ভাইরাসে শনাক্তের পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে রোগীদের হিড়িক দেখা যায়। ১৭ই এপ্রিল শনিবার সকালে হাসপাতালের প্রধান ফটক থেকে খানপুর মেইনরোড পর্যন্ত সড়কে লম্বা লাইন ও মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। তাছাড়া লম্বা লাইনের সারি সারি দেখা গেলেও ছিলো না তাদের মাঝে দূরত্ব আবার কিছু মানুষের মুখে ছিলো মাস্ক পড়া।শনিবার সকালে সরেজমিনে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই করোনা টিকা নিতে এবং নমুনা দিতে শত শত মানুষ জন্য লম্বা লাইন ধরে উপস্থিত হয়। এ সময় হাসপাতালে তাদের মধ্যে ছিলো না স্বাস্থ্যবিধি। লম্বা লাইনের সারি সারিতে ছিলো না কোন ফাকা কিংবা গ্যাপ। তাছাড়া হাসপাতালের মধ্যে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। এ সময় হাসাপাতালটিতে মানুষের উপচেপড়া ভিড়ের কারণে অশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। মানুষের হাসপাতালে প্রতিটি বেড ও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটেও (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছেন করোনা রোগীরা। তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে এ সময় ভিড় করেন তাদের স্বজনরাও। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও এ বাড়তি চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। এ দিকে টিকা নিতে আসা কয়েকজন ভুক্তভোগী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে বলেন, সকালে আসছি, দুপুর পর্যন্ত লাইন ধরেই আছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখানে স্বজনপ্রীতি দেখাচ্ছে। অনেকেই লাইন ছাড়াও টিকা দিয়ে চলে যাচ্ছে। আবার হঠাৎ করে টিকা দিতে ধীরগতি হচ্ছে। আবার কখনো বা তারা কথা বলেই সময় পার করে দিচ্ছে। এদিকে আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা রৌদে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছি। এতে করে লাইনে যারা দাড়িয়ে রয়েছে তারা বিলম্বিত হচ্ছে। পাশাপাশি লাইনও দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার জন্য অশৃঙ্খলতার সৃষ্টি হয়েছে, তাই আমরা এতো ভোগান্তি পোহাচ্ছি।
অন্যদিকে করোনার টিকা ২য় ডোজ নিতে আসা অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করে বলেছেন, অনেক কষ্ট হলেই জীবন তো বাঁচাতে হবে। সে ক্ষেত্রে ডোজ নিয়ে আমি খুশি। তাই গত বারের চাইতে এখন করোনার টিকার নেওয়ার সংখ্যা মানুষের দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি করোনার টিকা দেওয়া সম্পন্ন করেছি। এবং অন্যদের কেউ বলছি আপনারও করোনা টিকা নিন। নিজে সচেতন থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।
স্থানীয় কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু জানান, এখানে কেন এত লাইন আর মানুষ যে কত কষ্ট করছে সেটি যদি আপনারা অনুধাবন করতে পারেন তাহলে অবশ্যই সচেতন হবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আহ্বানে মারা যাওয়া বাবুল নামে সৈয়দপুর এলাকার এক ব্যক্তির দাফন করলাম এখন যার পরিবার মারা যাওয়ার পর ফোনও ধরেনি মরদেহও নিতে চায়নি। এখনো সময় আছে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।
এ বিষয় খানপুর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাশার গণমাধ্যমকে জানান, সবাইকে বুঝতে হবে যার সেদিন তারিখ সেদিন টিকা নিতে আসতে হবে। ৩/৪ দিন না এসে একদিনে সবাই আসাতে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। টিকার চাপ সামাল দিয়ে আমরা সবাইকে দেওয়ার চেষ্টা করছি ডোজ। আর নমুনা সংগ্রহ স্বাভাবিকভাবেই চলছে।