নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাড়ায় ব্লু পিয়ার মদের বার বন্ধের দাবিতে সাতদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন ওলামা পরষিদ নেতা ও ডিআইটি মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল আউয়াল। এর মধ্যে বন্ধ না করা হলে আগামী শুক্রবার ব্লু পিয়ার সহ ওই বিল্ডিং ভেঙ্গে তচনছ করে দেয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। এসময় মদের বার বন্ধের জন্য সাংসদ শামীম ওসমান, সেলিম ওসমানকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমআ শহরের ডিআইটি মসজিদের সামনে ওলামা পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত গণসমাবেশ ওই আল্টিমেটাম দেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের এসপি আশ্বাস দিয়েছিলেন। আমাদের সামনে রেখে মদের বার ভেঙে দিবেন। কিন্তু গতকাল তিনি বললেন, হুজুর দুঃখের বিষয়, তারা উপর মহল থেকে অনুমোদন নিয়ে আসছেন। এতে করেই বোঝা যাচ্ছে, তাদের কোথাও না কোথাও দুর্বলতা আছে। আপনারা প্রশাসনকে বাচাঁতে টিয়ারশেল ও গুলি ছুড়তে পারেন। কিন্তু আমরাও আমাদের আল্লাহ ও কোরআনের সম্মান রক্ষা করতে বুকের তাজা রক্ত দিতে পারি।
প্রশাসনেক হুশিয়ারী দিয়ে আব্দুল আউয়াল বলেন, এই প্রশাসন ভালো করে শুনে নেন। আল্লাহ পাকের উপর ভরসা করে বলছি, ওটাকে যদি আপনার এখান থেকে সরায়ে দিতে ব্যর্থ হন তাহলে ওটার বিল্ডিং সহ ভেঙে তছনছ করে দেয়া হবে। নারায়ণগঞ্জের তৌহিদী জনতা মদের বার চায় না। এটা আপনারা উপরের মহলে জানান। আপনারা মুসলমানের সন্তান। কোরআন সামনে রাখেন। আল্লাহপাক মদ হারাম করেছেন। হারামকে হালাল বানাইয়া বিক্রি করতে চায়, তাদের মুসলমানিত্ব থাকে না। আগামী সপ্তাহে এর মধ্যে বন্ধ না করলে আমরা শুক্রবার আবারো অবস্থান নিবো। বন্ধ না করে বাড়ি ফিরে যাবোনা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অনইসলামিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির আমির ও বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন নেতা আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, ওলামা পরিষদের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের, কাদিয়ানি বিরোধী আন্দোলন নেতা মুফতি মাওলানা আবু সায়েম খালেদ, ওলামা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা দিন ইসলাম, নারায়নগঞ্জ জেলা ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুফতি জাকির হোসেন কাশিমি, জেলা হেফাজতে ইসলামের সমন্বয়ক ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ওলামা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, ওলামা পরিষদ নেতা মাওলানা কামাল উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, মুফতি হারুনর রশীদ, ওলামা পরিষদের নেতা মাওলানা ইসমাইল হোসেন, ওলামা পরিষদের রহমতউল্লাহ বুখারী প্রমূখ।