নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : দীর্ঘ ৭০ বছর পর বাংলাদেশ-ভারতের নৌচলাচল শুরু হলো। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ নৌ সার্ভিসটি উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ উপলক্ষে ফতুল্লার পাগলা মেরিএন্ডারসনের ভিআইপি ঘাটে অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ক্রুজ শিপ এমভি মধুমতি ফতুল্লার পাগলা থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুস সামাদ। এ সময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ উপস্থিত ছিলেন।
রাত ৯টায় অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ক্রুজ শিপ এমভি মধুমতি ফতুল্লার পাগলায় অবস্থিত মেরিএন্ডারসনের ভিআইপি ঘাট থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে শুরু হয়। একইদিন একই সময়ে ভারতের ক্রুজ শিপ মেসার্স আরভি বেঙ্গল গঙ্গা কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিআইডব্লিউটিসি জানিয়েছে বাংলাদেশ-ভারত চুক্তির আওতায় পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এ সেবা চালু হচ্ছে। পরীক্ষামূলকভাবে সফল হলে নিয়মিতভাবে এ নৌযান চলাচল করবে।
ক্রুজ শিপ এমভি মধুমতি পাগলা হতে বরিশাল, বাগেরহাটের মংলা, সুন্দরবন, খুলনার আন্টিহারা-ভারতের হলদিয়া রুট হয়ে হয়ে কলকাতায় যাবে। এ জন্য পরীক্ষামূলকভাবে সুন্দরবন, বরিশাল, চাঁদপুরের মতো আকর্ষণীয় এলাকার ওপর দিয়ে নৌযানগুলো ঘুরে যাবে। চাঁদপুর হয়ে ৩০ মার্চ ভোরবেলা বরিশালে যাত্রা বিরতি করবে এমভি মধুমতি।
সেখান থেকে বাগেরহাটের মংলায় কিছু সময় থামবে জাহাজটি। বাগেরহাট থেকে সুন্দরবন ঘুরে মধুমতি জাহাজটি খুলনার কয়রার আন্টিহারার দিকে যাবে। সেখানে যাত্রীদের ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হবে।
আন্টিহারা হয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়ায় যাবে। হলদিয়া থেকে সরাসরি কলকাতা যাবে মধুমতি। সবশেষ গন্তব্য কলকাতা নৌবন্দরে পৌঁছাবে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে। রোববার কলকাতায় থেকে পরদিন সোমবার (১ এপ্রিল) ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে এমভি মধুমতি। এমভি মধুমতিতে যাত্রী ধারণক্ষমতা প্রায় ছয়শ জন। এর মধ্যে কেবিনগুলোতে ১৩০ জন যাত্রী ভ্রমণ করছেন। জাহাজে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকেলের নাস্তা, রাতের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এসব খাবার যাত্রীদের কিনে খেতে হবে।