নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব সংবাদ দাতা ) : জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সাড়াশি অভিযানে মাদক, কিশোর গ্যাং, ইভটিজিং ও ওয়ারেন্ট তামিল করতে গত ১৪ ডিসেম্বর শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার, ওয়ারেন্ট ও সন্দেহজনকভাবে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ফতুল্লা থানা পুলিশ এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের বাড়িতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ নিয়ে অভিযান চালায়। এ অভিযান চালিয়ে ১ কেজি গাঁজাসহ দুই পেশাদার মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, ঢাকা জেলার যাত্রাবাড়ি থানাধীন রেল লাইন বস্তি এলাকার আনসার মন্ডলের ছেলে রায়হান (১৯) এবং মো. আ: আলীমের ছেলে আকাশ (২০)। ওয়ারেন্টভ‚ক্ত আসামী জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জাহিদ (২৫) কে গ্রেফতার করেছে।
ফতুল্লা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ মিজানুর রহমান ও ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মোঃ শাখাওয়াত হোসেনসহ থানার এসআই ও এএসআইসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। মাসদাইর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জামিলা, পারুলী, পারভেজ গাবতলী ইসদাইর এলাকার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা রকির বাসায় অভিযান চালায়। চাঁনমারী বস্তিসহ ও নয়ামাটি এলাকার দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন চুন্নুর বাসায়ও অভিযান চালায়। এ অভিযানের টের পেয়ে চৌকস মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী চুন্নু পালিয়ে যায়।
ওই দিন রাত সাড়ে সাতটায় ফতুল্লা রেলষ্টেশন এলাকায় আরেক অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং সন্দেহে ৫ যুবককে গ্রেফতার করেছে। এরা হলো, জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (১৮), আবুল কালামের ছেলে হৃদয় (১৮), ওমর আলীর ছেলে সায়ন (১৯), আবু সামার ছেলে মোস্তাকিন (১৮) এবং তোতা প্যাদার ছেলে হাসান (৩০)।
এ সময় পিলকুনি এলাকা থেকে মাদক সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, প্রেম চাঁনের ছেলে কমল চন্দ্র (৩০), মৃত আবুল কাশেমের ছেলে সবুজ (৩০), রফিকের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৮), ফরিদ মিয়ার ছেলে শরিফ মিয়া (২২), মজিবরের ছেলে আওলাদ হোসেন (২৫), হাসান আলীর ছেলে মোঃ সানী (২৫)। এখনও থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আসলাম হোসেন ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ মিজানুর রহমান। তবে গ্রেফতারকৃতদের যাচাই-বাছাই ও এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।