নামাজ আদায়ের জন্য তল্লার সেই মসজিদ খুলে দিতে ডিসির কাছে আবেদন

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর প্রায় চার মাস যাবৎ বন্ধ থাকা নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য খুলে দেওয়ার দাবিতে লিখিত আবেদন জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটির লোকজন। ২৭ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল গফুর মিয়ার নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাইন বিল্লাহ কাছে লিখিত আবেদন জানান তারা।

লিখিত আবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর এশার নামাজের সময় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার তদন্তের স্বার্থে কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে যারা ইতিমধ্যে মসজিদের ভিতর থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে ফেলেছে। পাশাপাশি গ্যাস লাইনের পাইপটিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তাই বর্তমানে মসজিদের ভিতরে আর কোনো গ্যাস লিকেজ হয় না। এই মসজিদে প্রতি জুম্মার নামাজে সহস্রাধিক মুসলিম নামাজ আদায় করে। তদন্তের কারণে মসজিদটি বন্ধ থাকায় মুসল্লিদের অনেক দূরে গিয়ে নামাজ আদায় করতে হচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটির লোকজন মসজিদটি দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবি জানান।

এসময় লিখিত আবেদন জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন সামসুদ্দিন সরদার, শামসু সরদার, শওকত আলী, অসিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল, নাঈম সরদার, তানভীর আহমেদ, আল আমিন, আলমগীর সিকদার, মাওলানা আল আমিন, সিরাজ হাওলাদার প্রমুখ।

লিখিত আবেদন জমা শেষে সাংবাদিকদের বায়তুল সালাত জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল গফুর মিয়া জানান, গত বছরের মসজিদের বিস্ফোরণে অনেক মুসল্লি মারা গেছে। কিন্তু এই মসজিদে প্রতি জুম্মায় হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করে। তারা গত ৪ মাস যাবৎ মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারছে না এবং মসজিদে যেহেতু গ্যাসের লিকেজ নেই তাই মসজিদটি উন্মূক্ত করে দেওয়া হোক। আমরা এর আগেও গত জানুয়ারি ৩ তারিখ নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন বরাবর দরখাস্ত আবেদন করেছিলাম। এটা আমাদের মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীর দাবী মসজিদটি খুলে দেওয়া হোক।

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে এশার নামাজ চলাকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মসজিদের অভ্যন্তরে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ থেকে স্পার্ক ও অবৈধ গ্যাস পাইপ লাইনের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের মিশ্রনে এই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা সিআইডি। এই বিস্ফোরণে ৩৬ জন দগ্ধ হন। তাদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ৩৪ জন মারা গেছেন। আশঙ্কাজনক আহত হয়েছে দুই জন ।

add-content

আরও খবর

পঠিত