নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকন ) : ঈদের বাকি আর মাত্র ৫ দিন। মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদের এই খুশিকে ভাগাভাগি করে নিতে সকলের মাঝেই যেন ভিন্ন এক আমেজ। যদিও এ ঈদে প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে পশু কোরবানি দেয়া, তারপরও সামর্থ্যবানরা এই ঈদেও পোশাক-আশাক কেনাকাটায় সাচ্ছন্দবোধ করে থাকে। নতুন কাপড় ছাড়া যেন ঈদের আনন্দই মাটি। হোক খুব দামি কিংবা স্বল্প দামি। আর এই পবিত্র ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে জমকালো পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা। তবে এখনো জমে উঠেনি ঈদের বাজার। ঈদুল ফিতরের তুলনায় এখন ব্যবসায় অনেক মন্দা চলছে বলে দাবি করলেন ব্যবসায়ীরা।
তবে তারাঁ জানায়, এই ঈদের পাশাপাশি সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সমপ্রদায়ের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব অতি নিকটে হওয়ায় ঈদের পরই এক বিশাল চাপ রয়েছে । কিন্তু এবার দুটি উৎসব একেবারেই সন্নিকটে না থাকায় এটাতেও অনেকটা সুবিধা হয়েছে তাদের। খুব স্বস্তিতে ঈদের বেচাঁকেনা শেষেই লক্ষ থাকবে পূজোর বেচাঁকেনায় ব্যস্ত সময় কাটানোর। সুতরাং ঈদের পর ফুসরত না মিললেও দুটি উৎসবের বেচাঁকেনায় রীতিমত হিমশিম খাওয়ার ঝামেলা নেই ব্যবসায়ীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদের কেনাকাটায় শহরের মার্কেট ও বিপণী বিতানগুলো এখনো সরগরম নেই বললেই চলে। কিছু ক্রেতা পাওয়া গেলেও বিত্তবান পরিবার ছাড়া সাধারণ মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে অনেকাংশেই কম। তবে এখন না হলেও এই ঈদে শেষ মুর্হুতেই বেচাকেনার ধুম পড়বে বলে ব্যবসায়ীরা আশাবাদী।
এ ব্যপারে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এর পরিচালক ও শহরের অন্যতম বৃহত্তর বিপনি বিতান ফ্রেন্ডস মার্কেট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আরিফ দিপু বলেন, আমাদের ব্যবসা একেবারেই মন্দা চলছে। এখন ক্রেতা কম হলেও আগামী সোমবার থেকে পুরোপুরি জমজমাট হবে ঈদ বাজার। তবে আমাদের মূল বেচাঁকেনা হয়ে থাকে বৈশাখ ও রোযার ঈদকে ঘিরে। কারণ এই ঈদে সকলেই কোরবানির পশু নিয়েই ব্যস্ত খাকে। তাছাড়া অবৈধভাবে দখল করে সড়ক ও মার্কেটের সামনেই অল্প পুঁজি নিয়ে গড়ে উঠেছে হকারদের মার্কেট। যাদের জন্য লোকসান গুনতে হচ্ছে আমাদের মত লক্ষ ও কোটি টাকা পূজিঁ খাটানো মূল ব্যবসায়ীদের।
ফ্রেন্ডস মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানায়, আমাদের মার্কেটের ভালো চাহিদা রয়েছে। কারণ এই কোরবানির ঈদে বেশীরভাগ মানুষই সাধারণ কাজের মধ্যেই পোশাক পরিহিত করে থাকে। তেমন একটা ঝাকঝমক পোশাক ও ব্যয়বহুল পোশাকে গ্রাহকদের নজর কাড়ে না। আর আমরা সব ধরনের কাপড় এখানে বিক্রি করে থাকি।
এদিকে নাম জানাতে অনিচ্ছুক একজন নারী ক্রেতা বলেন, কোরবানী ঈদ ঘনিয়ে আসলেও ঈদের কেনাকাটায় আমরা তেমন একটা উৎসাহী না । প্রাকৃতিক দৃর্যোগ বন্যা সহ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে আমাদের মত সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আমেজ তেমন নেই । কোরবানি দেওয়াই ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। শুধুমাত্র ছেলে মেয়ের জন্য পাঞ্জাবী ও কামিস-পাজামার কাপড় নিয়ে নিচ্ছি বানিয়ে দিবো।
এছাড়াও শহরের আল জয়নাল ট্রেড সেন্টার অভিজাত রেডিমেট মার্কেটের পোশাক বিক্রেতা ইমন জানায়, এখন এমনিতেই বেচাকেনা তেমন একটা নেই। তবে ঈদুল ফিতরের চেয়ে কম দামেই পোশাক বিক্রি করছি। কারণ হিসেবে বলেন, বেশিরভাগেরই ঝোঁক কোরবানির পশুর দিকে তাই।