নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( শহর সংবাদদাতা ) : জাপা নেতা ও শিল্পপতি আল জয়নাল বলেছেন, চাষাঢ়া সরকারি মহিলা কলেজের পূর্ব পার্শ্বে (খানপুর (ম) খন্ড মৌজার আর.এস ৮১৬, ৮১৯নং দাগের সম্পত্তি) যে জায়গাটি আমি দখল করেছি বলে বলা হচ্ছে। সেটা কোন বাক প্রতিবন্ধীর জায়গা নয়। আমি ওই জায়গাটির খরিদসূত্রে মালিক এবং দীর্ঘদিন যাবত ওই জায়গাটি ভোগদখল করে আসছি। সুতরাং আমার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের টানবাজার এলাকায় আল জয়নাল প্লাজায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাক প্রতিবন্ধী ওমর ফারুকের নোবেল কর্তৃক প্রাপ্ত ২.৬৪ শতাংশ সম্পত্তি ব্যতিত কোন সম্পত্তির কোন দলিলপত্র নেই। অথচ তার স্ত্রী নাজমা বেগম তার বসত বাড়ীর পূর্বপার্শ্বে ও দক্ষিণ পার্শ্বে আমার সম্পত্তিতে বাঁশের বেড়া দ্বারা ঘেরাও দিয়ে আমার সম্পত্তি আত্মসাত করার ষড়যন্ত্র করছে। শুধু তাই নয়, আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে আমার সম্মান নষ্ট করাও চেষ্টা করছে। আপনারাই (সাংবাদিক) ভালো করে যাচাই করে দেখেন আমি এমনটি করছি কি না? যদি করি, তাহলে আপনারা আমার বিরুদ্ধে লিখেন। আর যদি এমন ঘটনা না ঘটে, তাহলে এর প্রতিকার যেভাবে করা যায় তাই করবেন।
শিল্পপতি জয়নাল আরও বলেন, মহিলা কলেজের সাথের জায়গাটা ওমর ফারুকের বাবা আমার কাছে বিক্রি করে যায়। যে জায়গাটা বাকী ছিলো ওটা ওমর ফারুকের এক আত্মীয়কে পাওয়ার দেয়। ওই পাওয়ার থেকে আমি কিনি। জায়গাটা কিনার পরে ওই পাওয়ার বাতিলের জন্য কোর্টে একটি মামলা করে ওনি। জায়গা পাওয়ার দিয়ে বিক্রি করলে সেটা মামলা হয়না। অথচ আমার জায়গায় আমার ঘরে তিনি তালা লাগিয়ে রাখছে। গতকাল আমার লোক সে জায়গায় সিমেন্ট নিয়ে গেলে ঘাড়ে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিছে। সেখানে আমাদের কোন লোক মারধর করে নাই। ওমর ফারুকের স্ত্রী নাজমা বেগম মারধর করছে।
এ বিষয়ে বাক প্রতিবন্ধী ওমর ফারুকের মামাতো ভাই মো: কবির হোসেন বলেন, আমার মামাতো ভাই ওমর ফারুক ৮১৬ দাগের ২.৬৪ শতাংশের মালিক। বাকী জায়গা ফারুকের বাবা-মা সহ আমার মা খালারা ৪জন মিলে জয়নাল সাবের কাছে বিক্রি করে।