নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সদর সংবাদ দাতা ) : রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিকের দখল থেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।
সদস্য সচিব রেজাউল করিম রাজিবের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ভুইয়া জুলহাস, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. নুরুল হুদা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক সাংবাদিক শরীফউদ্দিন সবুজ, দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাজু, সৈয়দ রাসেদুল হাসান রাসেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান কামুর ভুক্তভোগী স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, সন্তান সৈয়দ মুকিত রহমান, পুত্রবধূ ফাতেমা রহমান ও নাতনী রওশন আরা নিশা।
মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধারা রফিকুল ইসলামকে ভূমিদস্যু উল্লেখ করে বলেন, আমরা এই দেশকে সআধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি। বর্তমান সরকার যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। নানা সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। সেখানে রফিকুল ইসলাম সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে। কতটা বদ প্রকৃতির মানুষ হলে একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি জোর করে বালু ভরাট করে দখলে নিতে পারে! আমরা অনতিবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। নয়তো কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক সাংবাদিক শরীফউদ্দিন সবুজ বলেন, আইনের শাসন থাকলে এমনটি হওয়ার কথা না। রূপগঞ্জে নিশ্চই আইনের শাসনের ব্যাঘাত ঘটেছে। যার কারনে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এমন অন্যায় অবিচারের শিকার হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি আরো বলেন, আমাদের জেলা পুলিশ সুপার ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের অনেক বাঘা বাঘা অপরাধীদের গ্রেফতার করেছেন। আমরা আশা করবো তিনি রূপগঞ্জে যারা এ অন্যায় কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন।
এসময় মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান কামুর পরিবার বলেন, আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। বিভিন্নসময় তাদের হুমকী ধামকীর কারণে নিরাপত্তাহীণতায় ভুগছি। প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। একমাত্র প্রশাসন চাইলেই, আমরা জমিটি উদ্ধার পেতে পারি। এসময় অবৈধ দখলকারীর হাত থেকে জমিটি যেন ফিরে পায় সেজন্য মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) ও জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার।