নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : গত ১০ ডিসেম্বর ৪১তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে পুরো দৃশ্যমান হয় ৬.১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতু। সেতুতে স্প্যান বসানোর কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল ভাসমান ক্রেন তিয়াইন–ইয়ো। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ১৩ ডিসেম্বর রবিবার সকালে ক্রেনটি পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মোঃ আব্দুল কাদের বিষয়টি জানান।
তিনি জানান, ক্রেনটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে সকালে মাওয়া থেকে বিদায় নিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে থেকে সেটি হংকং হয়ে চীনে পাড়ি জমাবে।
তিনি আরো জানান, মাওয়া থেকে চট্রগ্রাম পর্যন্ত ক্রেনটির যাত্রা নিরাপত্তায় থাকবে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। সেখান থেকে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স শেষে বড় মাদার ব্যাসেলে সেটি হংকংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। যেতে সময় লাগবে এক মাসের বেশি সময়।
প্রসঙ্গত, চীনে তৈরি ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার বিশেষ ধরনের এই ভাসমান ক্রেনটির দাম আড়াই হাজার কোটি টাকা। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ক্রেনটি পদ্মা সেতু প্রকল্পে আনা হয়। সে বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যান থেকে চলতি বছরের গত ১০ ডিসেম্বর সেতুর ৪২টি পিয়ারে ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ করে ক্রেনটি। এটি ব্যবহারে প্রতি মাসে খরচ পড়েছে ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ পদ্মা সেতু প্রকল্পে ক্রেনটি ব্যবহারে গত ৪৫ মাসে খরচ হয়েছে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা।