নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ নিয়ে সৌদি আরবের প্রকাশ্যে এমন কঠোর প্রতিক্রিয়া এটিই প্রথম।
রাজধানী রিয়াদে আরব ও মুসলিম নেতাদের সম্মেলনে বিন–সালমান লেবানন ও ইরানে ইসরায়েলের হামলারও সমালোচনা করেছেন। তবে ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে তাদের সেনাবাহিনীর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ জোরালভাবে অস্বীকার করেছে।
দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষণ প্রকাশ করে যুবরাজ বিন–সালমান ইরানের মাটিতে হামলার বিষয়েও ইসরায়েলকে সতর্ক করেছেন।
একইসঙ্গে তিনি অন্য নেতাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে পশ্চিম তীর ও গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের আহবান জানান।
অন্যদিকে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল–সৌদ বলেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতা’। তিনি গাজায় খাদ্য সংকটের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেন।
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রাথমিক পর্যায়ে অনতিবিলম্বে সংঘাত ও ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে”।
গতবছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা ও ২৫১ জনকে জিম্মি করার পর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
তার পর থেকেই গাজায় ইসরায়েলের হামলা চলে আসছে। গাজায় হামাস–ইসরায়েলের এ লড়াইয়ে এখন হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের হিসাবে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৪৩,৪০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি।
জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার শিকার হওয়াদের মধ্যে যাদের চিহ্নিত করা গেছে তাদের সত্তর ভাগই নারী ও শিশু।
এবারের আরব সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতারা গাজায় জাতিসংঘ কর্মকর্তা ও স্থাপনা লক্ষ্য করে ইসরায়েলের ‘অবিরাম হামলার’ও নিন্দা করেছেন।
সূত্র: বিবিসি