নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : বন্দর ১নং খেয়াঘাটে এবার পশুর হাটের ইজারা না দেয়ায় বন্দরবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য বহণকারী এ হাটটি না হওয়ায় বন্দরেরর আপামর জন সাধারণেরর মাঝে মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে আমিন আবাসিক এলাকার জনৈক বাসিন্দা আবদুর রহমান জানান, বন্দর ১নং খেয়াঘাটটি অত্যন্ত নিরাপদ একটি হাট। এই হাটে যেমন নিরাপত্তা তেমনি জল পথ ও স্থলে পথে সুবিধাও রয়েছে। হাটটি ইজারা না দেয়ায় আমাদের দূর-দূরান্তের হাট থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গরু ক্রয়-বিক্রয় করতে হচ্ছে। গত দইবছর ব্যবসায়ী শাহ আলম যেভাবে হাটটি পরিচালনা করেছেন তাতে বন্দরবাসীর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। র্যালি আবাসিক এলাকার জনৈক বাসিন্দা লোকমান হোসেন জানান,বন্দর হাটের পাশে ৪টি আবাসিক এলাকায় প্রায় কয়েক হাজার লোকের বসবাস আমাদের এসকল বাসিন্দাদের সুবিধার্থে বন্দর পশুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
কিন্তু হাটটি এবার ইজারা না দেয়ায় আমাদেরকে ভোগান্তি বেড়েছে। বন্দরের হাট না হওয়ায় ৫কিলোমিটার দূরে গিয়ে গরু-ছাগল করাটা খুবই দুস্কর ব্যাপার। আমাদের সর্বস্তরের বাসিন্দাদের জোরদাবি বন্দর ১নং খেয়াঘাটটির যাতে ইজারা দেয়া হয়। এতে বন্দরের লাখ লাখ মানুষ স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলবে।
লেজারার্স আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. বিপ্লব জানান, ১নং খেয়াঘাটের এ হাটটি বন্দর থানার সবচেয়ে বৃহত্তর অথচ বন্দর এলাকার জনদূর্ভোগ লাঘবে এ হাটটি বেশ গুরুত্ব বয়ে আনে। এবার গরুর হাটের ইজারা না থাকায় একদিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাবে সরকার অন্যদিকে দূর দুরান্ত থেকে গরু ক্রয় করে বহন করতেও এ এলাকার মানুষের বেশ বেগ পেতে হবে। গত বছর বন্দর খেয়াঘাটে খুব সহজেই মানুষ গরু ক্রয়সহ অন্যান্য সেবা পেয়ে আনন্দে বাড়ী ফিরেছে। তাছাড়া শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় হওয়ায় বিভিন্ন ঘাট থেকে ট্রলার যোগে হাজার হাজার গরুর সমাগম ঘটে এ হাটে। গরুর ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো বন্দর ১নং খেয়াঘাটস্থ গরুর-হাট। বন্দর এলাকাধীণ হাজার হাজার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এ হাট।
বন্দর খেয়া ঘাটস্থ জনৈক এক ব্যাক্তি জানান, বন্দর ১নং খেয়া ঘাটে প্রতি বৎসরই গরুর হাট জমজমাট ভাবে বসে। এ বৎসর এই ঘাটে গরুর হাটের ইজারা না দেয়ায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হবে বন্দরবাসীকে। কেননা, এত সুন্দর মনোরম পরিসরে ক্রেতারা প্রতি বৎসর যেভাবে গরু ক্রয় করে বাড়ী ফিরত এবার এ স্থানে গরুর হাট না থাকায় বিপাকে পড়বে মানুষ। দূর-দূরান্ত হাটে গিয়ে মানুষ তেমন নিরাপত্তা পাবেনা যেভাবে বন্দর ঘাটে সুবিধা পেত। এবার বন্দর ঘাটে গরুর হাট না থাকায় কোরবানীর পশু ক্রয় করার এক অজানা সমস্যাই বিরাজ করছে এই এলাকার মানুষের মাঝে।