নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : নারায়ণগঞ্জের কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার অবহেলায় মিলি (৩০) নামে এক নারীর মৃত্যু ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রোগীর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ডাক্তারের ভুল চিকিৎসাকে দায়ি করে ভাংচুর চালিয়েছেন স্বজনরা ৷ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে চাষাঢ়ার কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে ৷
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। নিহত মিলি আক্তার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পূর্ব সস্তাপুরের শাহ আলমের স্ত্রী। গৃহবধূ মিলির মৃত্যুর বিষয়ে তার স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে নিহত মিলির মা মাসুদা বেগম বলেন, ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার রাত ৯ টার দিকে মাথা ব্যাথার সমস্যা নিয়ে তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি মেডিসিন ও স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহেদ আলীর তত্বাবধায়নে এখানে ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, প্রায়ই তার মেয়ে মাথা ব্যাথায় ভুগতেন। রবিবার রাতে তার ব্যথা তীব্র হলে ডা. জাহেদ আলীর কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি তাকে কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। রাতেই তাকে কেয়ার জেনারেল হসপিটালে ভর্তি করা হয়।
নিহত মিলির স্বামী শাহ আলম বলেন, ৩০ সেপ্টেস্বর সোমবার সকালের দিকে মিলিকে আমরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের ছাড়েনি। কিন্তু দুপুর তিনটার দিকে হাসপাতাল থেকে তড়িগড়ি করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন এবং নিজেরাই অ্যাম্বুলেন্স এনে রোগীকে উঠিয়ে দেয়। ওই সময় আমরা দেখি রোগী মৃত।
শাহ আলম আরো বলেন, আমরা ধারণা করছি মিলি আরও আগেই মারা গেছে। তবে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আড়াল করেছেন।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কেয়ার জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আবু বক্কর বলেন, গত রবিবার রাতে রোগী ভর্তির পর ডা. জাহেদ আলী টেলিফোনে যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সেভাবেই রোগীকে ওষুধ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে আমরাই রোগিকে ঢাকা পাঠিয়ে দিতে চাইলে রোগীর স্বজনরা রাজি না হলে উল্টো এখানে রেখেই চিকিৎসা করানোর কথা বলেন। কিন্তু দুপুরে রোগী মারা গেলে তার স্বজনরা হাসপাতাল ভাংচুর চালায়।
তিনি আরো বলেন, প্রচন্ড মাথা ব্যাথা থেকে রোগী ব্রেণ স্ট্রোক করে থাকতে পারেন। এতেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি। এক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন ত্রুটি নেই বলে তিনি দাবি করেন কেয়ার জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আবু বক্কর।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসি মো: আসলাম হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ স্বজনেরা বুঝে নিয়ে গেছে। কিন্তু কেউ এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ করেনি।