নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, আমদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর পর কোন নবী আসে নাই। আর আসবেও না। কাদিয়ানীরা তা বিশ্বাস করে না। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই তাদেরকে সরকারিভাবে কাফের ঘোষণা করো। এর আগেও তোমাকে বলা হয়েছিল কিন্তু তুমি তা কর্নপাত করোনি, করোনি, করোনি। তুমি যদি মুসলমান হও, তাহলে কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা করো, করো, করো। যদি না করো, তাহলে বাংলাদেশে কি হবে আমি জানি না। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) শহরের ঈদগাহ ময়দানে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবীতে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এরআগে নবীর পরে নবী নাই, সংসদে আইন চাই- এমন শ্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে নারায়ণগঞ্জ। কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করার দাবীতে দুপুর ঘনিয়ে আসতেই সমাবেশে হাজার হাজার মুসল্লী ও ধর্মপ্রাণ লোকজন আসতে থাকেন। বাদ যোহর সম্মেলনের প্রধান কর্মসূচি শুরু হলে এক পর্যায়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সমাবেশের প্রধান আকর্ষণ আল্লামা আহমদ শফীকে দেখার জন্য এবং দেশ বরেণ্য মাওলানাদের বক্তব্য শুনতে সবার কৌতুহুল দেখা যায়। যেকারণে সকাল থেকে আসা মুসল্লিদের সমাবেশ স্থলে আশপাশের এলাকা, সড়ক, অলি-গলিতে লক্ষ মুসল্লির জমায়েত হয়।
সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, নবী মোহাম্মদ (সাঃ) এর পরে আর কোনো নবী আসবে না। আমাদের নবীকে যারা মানবেন না তারা কাফের। তাদেরকে মুসলামনদের কবরস্থানে কবর দেয়া যাবে না। তাদের সাথে কোন আত্মীয়তা করা যাবে না। কাদিয়ানীদের সুন্দরী মহিলা দেখেই তাদেরকে বিয়ে করা যাবে না। তারা যদি এ দেশে বসবাস করতে চায় তাহলে হিন্দু হয়ে থাকতে হবে। বৌদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। অথবা খ্রিষ্টান হয়ে থাকবে। কিন্তু তারা মুসলমান হয়ে থাকতে পারবেনা। আমি জানি এ সম্মেলনেও সরকারী অনেক লোক আছে। তোমরা বলে দিও সরকার যেন কাদিয়ানীদের জন ব্যবস্থা নেয়।
হেফাজতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামীর মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, হেফাজতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরের সভাপতি নূর হোসাইন কাশেমী, সাইদুর রহমান, আব্দুল হামিদ, আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, নূরুল ইসলাম জিহাদী, আবদুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান, জুনায়েদ আল হাবীব, ইমাদুদ্দীন, আবদুল বারী, আশরাফ আলী, আবদুল কুদ্দুস, তাফাজ্জুল হক, নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, আশেকে এলাহী, আব্দুল হাই মেশকাত, মুহাম্মদ ইসহাক, মামুনুল হক, নজরুল ইসলাম কাশেমী, ওবায়দুর রহমান খাঁন নদভী, মাহবুবুল হক কাশেমী, শফিকুল ইসলাম, আবদুল আউয়াল, আবদুল কাদির, আবু তাহের জিহাদী, কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, শ্রমিক নেতা কাউসার আহম্মেদ পলাশ, সেন্টু প্রমূখ।