নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : করোনা মোকাবেলায় আক্রান্ত পরিবার গুলোর পাশে থেকে একের পর এক লাশ দাফন করায় বীর বাহাদূর আখ্যা দেওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের প্রতি আবারো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। বৃহস্পতিবার ৭ মে এক বিবৃতিতে এমপি সেলিম ওসমান কাউন্সিলর খোরদেশের প্রতি আবারো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সেলিম ওসমান বলেন, কাউন্সিলর খোরশেদ এই করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা সাহসিকতার সাথে মানুষের পাশে থেকে কাজ শুরু করেন। গত ২১ এপ্রিল আমি তাকে বীর বাহাদূর বলে আখ্যায়িত করে তাঁর কর্মকান্ডকে আরো ভাল ভাবে পরিচালনা করার জন্য সম্মানী সহযোগীতা হিসেবে তাকে ১০ লাখ টাকা প্রদানের ঘোষণা দিয়ে ছিলাম। এতে কাউন্সিলর খোরশেদ আমাকে পত্রিকার মাধ্যমে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তিনি আমাকে বলেছেন উনি দাফন কাফনের কাজটা নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী করবেন এবং উনাকে যে সম্মানী সহযোগীতা করতে চেয়ে ছিলাম ওইটা উনাকে না দিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরন করার অনুরোধ করেন।
কারন তাঁর থেকে সাধারণ মানুষের ওই সহযোগীতাটা অনেক বেশি প্রয়োজন। তার ইচ্ছা অনুসারীরেই আমি ওই ১০ লাখ টাকা সাধারণ মানুষের বন্টনের ব্যবস্থা করছি। জনসাধারণের জন্য কাউন্সিলর খোরশেদের এমন মানবতাবোধ সত্যি প্রশংসনীয়। আমি তাকে আবারো কৃতজ্ঞতার সাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং তাঁর মঙ্গল কামনা করছি। করোনার ভয়ে মানুষ যখন পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুতেও লাশের কাছে যাচ্ছিলো না তখন কাউন্সিলর খোরশেদ অত্যন্ত সাহসিকার সাথে করোনা আক্রান্ত রোগীদের দাফন কাফনের ব্যবস্থা করেন। শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ই নয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মৃত মানুষের লাশের দাহ করেন তিনি।
এমতবস্থায় গত ২১ এপ্রিল ফতুল্লা এমপি সেলিম ওসমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড এর সম্মেলন কক্ষে জনপ্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় কালে তিনি কাউন্সিলর খোরশেদের সাহসী কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন এবং তাকে বীর বাহাদূর আখ্যায়িত করে তাকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে সম্মান ও সহযোগীতার ঘোষণা দেন।
ওই দিন এমপি সেলিম ওসমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মোট ২ কোটি ২৮ লাখ টাকার একটি প্যাকেজ ঘোষণা দিয়ে ছিলেন। যার মধ্যে ২০ হাজার পরিবারের প্রত্যেককে ২০ কেজি চালের সমপরিমান মূল্য ৯০০ টাকা করে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ডাক্তারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থায় ২০ লাখ টাকা, ৬০০ সেচ্ছাসেবীর সম্মানী বাবদ ২৮ লাখ টাকার অনুদান প্রদানের ঘোষণা দিয়ে ছিলেন। ইতোমধ্যে ১১ হাজার পরিবারকে ৯৯ লাখ টাকা এবং ডাক্তারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ২০ লাখ টাকা সহ মোট ১ কোটি ১৯ লাখ টাকার অনুদান প্রদান করেছেন।