নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : খানাখন্দ আর কর্দমাক্ত সড়কে একাকার ফতুল্লা। প্রধান সড়কের সংস্কার দেখা গেলেও শাখা সড়কগুলোর অবস্থা একেবারেই বেহাল। সড়কের অধিকাংশ স্থানে বড় বড় গর্ত। যে গর্তে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। ফলে সড়কে যান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে সৃষ্টি হয় বিশাল জানজট। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব এলাকার বাসিন্দাসহ সর্বসাধারণের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কগুলোর দুই পাশে রপ্তানিমুখী গার্মেন্টসসহ ছোট-বড় বহু শিল্পকারখানা রয়েছে। কারখানা ঘিরে আশপাশের এলাকায় শ্রমিকদের বসতি গড়ে উঠেছে। এসব বসতির আশপাশে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সড়কের বেহাল দশা হওয়ায় শ্রমিকদের হেঁটে চলাচল করাও খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সড়ক গুলোর মধ্যে রয়েছে, লামাপাড়া হতে রামারবাগ মসজিদের সড়ক, সস্তাপুর কোতালের বাগ সড়ক, সস্তাপুরের গাবতলী মোড় থেকে কাস্টমের মোড়, স্টেডিয়াম থেকে জালকুড়ি খেজুর তলা সড়ক, স্টেডিয়াম থেকে পাগলা সড়ক, হাজীগঞ্জ থেকে শিবুমার্কেট গ্রান্ড ট্রাংক রোড সড়ক অন্যতম। এ সড়কগুলোতে সব চাইতে বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে গার্মেন্টস শ্রমিক, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অফিসগামী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) গ্রামীণ অবকাঠামো হিসেবে রিকশা, ভ্যান, হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য এসব সড়ক নির্মাণ করেছিল। সময়ের বিবর্তনে এসব সড়কের দুই পাশে বহু শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। বর্তমানে কারখানাগুলোতে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য শুধু বড় বড় কাভার্ড ভ্যান নয়, ভারী কনটেইনারও চলাচল করছে। ফলে সড়কগুলো অল্প সময়েই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সড়কের দুই পাশের ডোবা ভরাট করে স্থাপনা নির্মিত হওয়ায় পানি নির্গমনের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বৃষ্টির পানি জমে সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
এবিষয়ে ফতুল্লার স্থানিয় কবির নামে এক ব্যক্তি জানান, রাস্তার পাশে যে ড্রেন নির্মান করা হয়েছিল তা, মূলত আবাসিক এলাকার জন্য। কিন্তু কালের বিবর্তনে এই এলাকায় অনেক ড্রাইং, শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠেছে। এলাকাবাসী নিজ নিজ বাড়ির সমানে ইট বালি দিয়ে রাস্তাটি উচু করছে। আবার কোথাও কোথাও পানি জমে রাস্তার অবস্থা খুবই বেহাল।