এমপি ভাতৃদ্বয় ও এসপি, ডিসি’র সহযোগীতা চাইলেন কাউন্সিলর কবির

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪  ( স্টাফ রিপোর্টার ) :  শহরের দক্ষিণ নলুয়া এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার নেপথ্যে জানালেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কবির হোসাইন। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৭টায় নিতাইগঞ্জ তোলারাম মোড় এলাকাস্থ নিজ বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

এসময় কাউন্সিলর কবির হোসাইন বলেন, সাবেক কাউন্সিলর মুন্নার সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন শত্রুতা নেই। দক্ষিন নলুয়াপাড়া জামে মসজিদের জমাকৃত টাকা নিয়ে এই বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। মুন্না ও তার লোকজনের হামলায় আমাকে ও আমার লোকদের রক্ত ঝড়াতে হয়েছে। সর্বশেষ মসজিদ কমিটি ঘটনার দিন মসজিদের ভেতর মিটিং ডাকে। মসজিদের কমিটির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী ফালু এলাকার কাউন্সিলর হিসেবে আমাকে মসজিদে উপস্থিত থাকতে বলেন। তার অনুরোধে আমি উপস্থিত ছিলাম। মূলত ওই হিসাব চাওয়ার জের ধরেই এই হামলা চালিয়েছে কামরুল হাসান মুন্না। আমি শুধু এটুকু দাবি করব আমার এলাকার সাংসদ সেলিম ওসমান, দলীয় সাংসদ শামীম ওসমান, জেলার এসপি ও ডিসির সহযোগীতায় যেন মুন্নার কাছ থেকে পাওনা টাকাগুলো উত্তোলন করে মসজিদের ফান্ডে ফিরিয়ে আনা হয়।

তিনি আরো বলেন, বেশ কয়েকবার সাবেক কাউন্সিলরের কাছে মসজিদের হিসাব চাওয়া হয়েছে কিন্তু সে হিসাব দেয় নাই। কখনো তিন মাস, কখনো ৬মাস সময় নিয়ে বিলম্ব করছে। গত তিন বছরে মসজিদের ফান্ডে সর্বশেষ হিসাবে ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫ শত ৪৭ টাকা জমা পড়েছে। কিন্তু সে টাকার কোন হিসাব সে দিচ্ছেনা। এছাড়াও সাংসদ সেলিম ওসমানের দেয়া একটি বৃহত্তর অনুদানের সঠিক হিসাবও আমরা জানিনা। মসজিদ কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও মুন্না জোর করে মসজিদ কমিটির সভাপতির পদে বহাল রয়েছে। নতুন কোন কমিটি করা হচ্ছেনা। তাছাড়াও পাশ্ববর্তী মসজিদেও সে প্রভাব বিস্তার করে থাকে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার দিবাগত রাতে নলুয়া এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলায় নাসিক ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবীর হোসাইন ও সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নাসহ ২২ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামীদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে বিকালে উভয়পক্ষের আপোষে তারা সকলেই জামিনে মুক্তি পায়।

add-content

আরও খবর

পঠিত