নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) ১৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কবির হোসাইন সাধারন ডায়েরী করলেন মাসুদুর রহমান জাবেদ নামক জনৈক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। আবার মাসুদুর রহমন জাবেদও কবির হোসাইনের বিরুদ্ধে সাধারন ডায়েরী করেছেন। রবিবার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় এই পাল্টাপাল্টি সাধারন ডায়েরী করা হয়।
কাউন্সলর কবির হোসাইন তার সাধারন ডায়েরীতে অভিযোগ করেন, এই মাসুদুর রহমান জাবেদ বিগত নির্বাচনের পর থেকেই তার কাজে নানা ভাবে বাধার সৃষ্টি করে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে কাউন্সিলর কবির হোসাইনের কাজের সাইডে গিয়ে নলুয়া নিবাসী ফজলুল হকের ছেলে জাবেদ নানা ভাবে বিগ্ন সৃষ্টি করছে। নানা রকম অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। জাবেদ দাবি করছে ১৮নং ওয়ার্ডের সকল উন্নয়ন কাজ নাকি সে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছ থেকে নিয়ে সে নিজে করছে। যা কিনা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট এবং আইনের পরিপন্থী। এভাবে অপপ্রচারের বিষয়টি মেয়র নিজেও অবগত রয়েছেন। আসল বাস্তবতা হলো ২০১৬ সালের নির্বাচনে অংম নিয়েছিলো এই মাসুদুর রহমান জবেদ এবং বিপুল ভোটে পরাজিত হন তিনি। মূলত সেই ক্ষোভ এবং প্রতিহিংসা থেকেই এভাবে কাউন্সিলর কবির হোসাইনকে বিব্রত করে চলেছেন।
অপরদিকে সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন জাভেদও। জিডিতে জাভেদ উল্লেখ করেন, গতকাল সকালে তিনি নিজ বাড়ি থেকে মাছুয়াবাজারে যান সবজি কিনতে। ওই সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে প্যানেল মেয়র-১ আফরোজা হাসান বিভা ওই এলাকার ড্রেনের পয়নিস্কাশনের কাজ করছিলেন। প্যানেল মেয়র বিভাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দেখে জাভেদও ঘটনাস্থলে গিয়ে দাঁড়িয়ে কাজ দেখছিলেন। ওই সময় স্থানীয় কাউন্সিলর কবির হোসেন এসে জাভেদকে উদ্দেশ্য করে বলে, তুই এখানে দাঁড়াইতে পারবি না। তুই এখানে থাকলে সমস্যা হবে। সিটি করপোরেশনের কোন কাজের সামনে তুই আসবি না।
মূলত এভাবেই তারা একে অপরের বিরুদ্ধে সাধারন ডায়েরী করেন। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দুটি সাধারন ডায়েরীর কথাই স্বীকার করেন এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।