আল বিদা মাহে রমজান : জুম্মাতুল বিদায় মুসল্লিদের ঢল

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সৈয়দ রিফাত আল রহমান ) : আল বিদা মাহে রমজান আল বিদা। সমাপ্তি পথে আত্মশুদ্ধির মাস পবিত্র মাহে রমজান। বিশ্বের মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ মাসটির নাম এই মাহে রমজান। আজ ২৭ রমজান, ২৯শে এপ্রিল শুক্রবার পবিত্র জুম্মাতুল বিদা। এবারের মত মাহে রমজানের আখিরী বা শেষ জুম্মা। তাই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মসজিদগুলোতে ছিলো ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল। পবিত্র রমজান মাসের শেষ জুম্মার নামাজে কাঁধে কাঁধ মেলান ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। অনেকে মসজিদে জায়গা না পেয়ে আশেপাশের সড়কেই জুম্মার নামাজ আদায় করেন। পবিত্র মাহে রমজান মাসের রহমত, মাগফিরাত এর মত নিয়ামত অতিবাহীত হয়ে নাজাতের শেষ সময়ে আজ ২৭ রমজান জুম্মাতুল বিদার জুম্মার নামাজ সম্পন্ন হল।

এদিকে, রমজান মাসের শেষ জুম্মায় প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মসজিদগুলোতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। শহরের প্রায় প্রতিটি মসজিদেই ছিল মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়।

রমজান মাসের নাজাত এর শেষ ভাগ শুক্রবার জুম্মাতুল বিদা রমজান মাসে আখেরী বা শেষ জুম্মার নামাজে শহরের আল্লামা ইকবাল রোড জামে মসজিদ, গলাচিপা জামে মসজিদ, চাষাড়া রেল লাইন জামে মসজিদ, চাষাড়া নূর মসজিদ, ডিআই টি মসজিদ, ইসদাইর কেন্দ্রীয় পৌর গোরস্থান মসজিদ, পাইকপাড়া মসজিদ, খানপুর, হাজিগঞ্জ, পাঠানটুলি মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে দেখা মিলে মুসল্লিদের মসজিদের কানায় কানায় ভিড়ে পরিপূর্ণ। অনেক মুসল্লিরা মসজিদে জায়গা না পেয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামাজ আদায় করেন মূল সড়কে। তাছাড়া শহরের ডিআইটি মসজিদে মুসল্লিদের কানায় কানায় ভিড়ে পরিপূর্ণ হওয়ায় মুসল্লিদের নামাজের কাতার সড়কে চলে আসে। ওই দিন  যথাযোগ্য মর্যাদা আর ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জুম্মার নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

এছাড়া মুসল্লিরা মসজিদের মূল অংশ বারান্দায় যে যেভাবে পেরেছেন জুম্মা নামাজ জামাতে শামিল হতে জায়গা করে নেন। দেখা মেলে এক মুসলিম ভাইয়ের প্রতি অন্য ভাইয়ে সৌহার্দ্য ভ্রাতৃত্ব। নিজের দাঁড়ানোর জায়গাটুকু আরও সংকুচিত করে অপর ভাইকে জায়গা করে দেন এক মুসলিম ভাই। ধনীগরিব ভেদাভেদ ভুলে একই কাতারে শামিল হন তারা। পাঞ্জাবিটুপি আর হাতে জায়নামাজ নিয়ে মুসল্লিদের শেষ জুম্মাতে উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি।

তাছাড়া জুম্মাতুল বিদায় মসজিদে মাহে রমজানের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ খুতবাহ পাঠ করা হয়। যাকাত আদায়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে ঈমান নিয়ে চলার উপর বয়ান করেন ইমাম। খুতবাহ শেষে মুসল্লিরা এক সাথে নামাজ আদায় করেন। পরে মৃত, অসুস্থসহ দেশ, জাতি বিশ্ববাসীর শান্তিসমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হয়। ধর্মপ্রাণ মুমিন মুসল্লিদের চোখ ডেকেছে অশ্রুর বান। আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে প্রার্থনা করেছে এই বরকতময় রমজানকে উসিলা করে যেন সকল মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ মাফ করে দেন (আমিন)

সকল মুসল্লিদের আফসুস হায় চলে গেল রহমত, বরকত, মাগফিরাত নাজাতের মাস। এই মাস ছিল কবরবাসীদের সকল আজাব থেকে মুক্তির মাস। আল বিদা মাহে রমজান আল বিদা। মাহে রমজানের শেষ জুম্মা অতীব গুরুত্বময় মর্যাদাপূর্ণ একটি দিন। দিন গুনাহ মাফ নাজাতের জন্য কান্নাকাটির দিন। জন্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সমবেত হন মসজিদে। আল্লাহর কাছে দু হাত তুলে রোনাজারি করে নিজেদের কবর আজাব জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কাঁদেন আল্লাহর দরবারে।

রমজানের শেষ সময়ে এসে উচ্চারিত হয় আল বিদা, আল বিদা, ইয়া শাহরু রামাজান। অর্থাৎ বিদায়, বিদায় হে মাহে রমজান।

add-content

আরও খবর

পঠিত