নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) সিদ্ধিরগঞ্জের রাজস্ব সার্কেল রুমানা আক্তারকে নিয়ে মিথ্যাচার করা সেই চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে সোহরাব মিয়া নামে এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে লিখিতভাবে এই অভিযোগটি দায়ের করেন তিনি। অভিযোগে সোহরাব মিয়া দাবী করেন, জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে চাঁন মিয়া আর.এস ৭২৫ দাগের জমি নিজ নামে নামজারি করে অপরাধ করে যাচ্ছেন। মূলত এই অপরাধ আড়াল করার জন্যই তিনি জেলা প্রশাসক বরাবর মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দাখিল করেছেন। চাঁন মিয়া ৯১ সালের ৫ ডিসেম্বর ৩৯৮৩ নম্বর দলিল মূলে না-দাবি প্রদান করে। যা রেজিস্ট্রি অফিসের বুক ভলিয়মে রয়েছে। কিন্তু চাঁন মিয়ার পক্ষে এর কোন প্রমান নাই। আইনীভাবে কোন কাগজাদী উপস্থাপন না করে বিচার প্রক্রিয়াকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে এবং জেলা প্রশাসনের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে এ অভিযোগের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী, দুর্ণীতি দমন কমিশন, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরাবরও দেওয়া হয়েছে। এর আগে ৭ নভেম্বর জালকুড়ি এলাকার মৃত মিছির আলীর ছেলে চাঁন ১৭৮৯০ নম্বর স্মারকে নারায়ণগঞ্জে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) সিদ্ধিরগঞ্জের রাজস্ব সার্কেল রুমানা আক্তার সহ যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
ভুক্তভোগী সোহরাব আরো দাবী করেন, চাঁন মিয়া মিথ্যা ও ভিত্তিহীনভাবে অভিযোগ দাখিল করেন জেলা প্রশাসক বরাবর। যেখানে যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেনের সহযোগিতায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে জমি অধিগ্রহণের চেক গ্রহণ করতে যাচ্ছে আর সেটি আইন লঙ্ঘন করে সোহরাব মিয়াকে পাইয়ে দিতে পায়তারা করছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) সিদ্ধিরগঞ্জের রাজস্ব সার্কেল রুমানা আক্তার। যা অসম্ভপর, তাছাড়া এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে বিচারকার্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে যা একধরণের অপরাধের সামিল।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসন সুত্রে এ প্রসঙ্গে জানা গেছে, মূল জ্যোত থেকে বন্টন হতে পারে। তবে যে কেউ চাইলেও কোন অবিচার করার সুযোগ পাবেনা। আর সেক্ষেত্রে দায়িত্ব প্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা তো অসম্ভব। তারপরেও বিচার কার্যে ক্ষুব্দ হলে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ( রাজস্ব ) অথবা আপিল বোর্ডে অভিযোগ দিতে পারে । তবে এ নিয়ে কোন অপপ্রচার করা হলে বিচারকার্যকে প্রভাবিত করা হয়। এছাড়াও আইনকে অমান্য করা হয়। তাই ভুক্তভোগেী চাইলে এ নিয়েও আইনের শরনাপন্ন হতে পারে।