১৩নং ওয়ার্ড শাখা সড়কের ফুটপাতেও দখলদারদের নজর

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : অবৈধ দখল রাজ্যে জমে উঠছে ফুটপাতের দোকান বানিজ্য। সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য ফুটপাত থাকলেও তা হকারের দখলে থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শহরবাসী। ফুটপাত দখল করে মার্কেটের দোকানের মতো পসরা সাজিয়ে বসেছে হকার। ফলে বাধ্য হয়েই ব্যস্ত সড়ক দিয়ে হাঁটাচলা করতে হচ্ছে পথচারীদের। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিভিন্ন সময়ই ফুটপাতের অবৈধ দখলে উচ্ছেদ অভিযান পরিবচালনা করে থাকেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও নগরবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে তৈরী করা হয়েছে বিকল্প সড়ক ও পথচারীদের জন্য করা হয়েছে ফুটপাত। তবে এর সিংহভাগই এখন দখল বানিজ্যে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন চা দোকানীসহ মিনি খাবার হোটেল।

ঘুরে দেখা যায়, শহরের চাষাঢ়া ডাকবাংলা ভবন থেকে শুরু করে পৌর গোরস্থান পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য রয়েছে বিকল্প সড়ক। যার পাশেই আছে ঢাকা-পাগলা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ব্যস্ততম  সড়ক। যেখানে প্রতিনিয়তই হাজারো ভারী যানবাহনের চলাচল। আর সর্বসাধারণের স্বার্থে এই সড়কটির বিষয় মাথায় রেখেই বিকল্প সড়কের পাশেই পথচারীদের হাঁটাচলায় রাখা হয়েছে ফুটপাত। তবে এ সকল ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছে না। ঝুঁকি নিয়ে সড়কেই হাঁটতে হচ্ছে পথচারীদের। কারণ ফুটপাতে চলাচলের স্থানে বিকিকিনি হচ্ছে মোবাইল ফোনের সরঞ্জাম, চা-সিগারেট, চটপটি, ফোসকা সহ পসরা সাজানো হয়েছে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায়, নগরীর সব ফুটপাতই হকারদের দখলে। তবে শাখা রোড হিসেবে চাষাঢ়া ডাকবাংলা ভবন থেকে শুরু করে সরকারী  বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত বিকল্প এই পথটি শহরবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বর্পূণ। কারণ এই সড়কের আশপাশেই রয়েছে  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, অভিজাত এর্পাটমেন্ট সহ বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। তবে দিন দিন ফুটপাত দখলে চলে যাওয়ায় এই স্থানগুলিতে সৃষ্টি হচ্ছে জনজট। তাই এই বিকল্প সড়কটি থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে জোরদাবী জানায় স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা স্কুলের যাওয়া এবং আসা উভয় সময়ই মূল রাস্তা দিয়েই হাঁটি। ফুটপাতে হাঁটার সুযোগ হয় না। এই সমস্যা অনেক দিন ধরেই। কিছু স্থান ফাকাঁ থাকলেও তাও দিনদিন দখলে চলে যাচ্ছে। এর ফলে আমাদের মারাতœক সড়ক দূর্ঘটনারও সম্মূখিন হতে হয়।

বিষয়টি নিয়ে ১৩নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খোরশেদ একমত প্রকাশ করে আরও অভিযোগ জানায়, স্থানীয় বাড়ির মালিকরা তাদের ভবনের র্নিমাণ সামগ্রী রেখে রাস্তা ও ফুটপাতকে দখল করে রাখছে। আমি ইতোমধ্যেই এনিয়ে কয়েকজনকে নিষেধ করেছি।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এহতেশামূল হক বলেন, অবৈধ দখলদারদের ব্যপারে আমরা সবসময়ই তৎপর। তবে মেয়রের অনুমতি সাপেক্ষ এর সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।

add-content

আরও খবর

পঠিত