হিমাচলে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর ভোগান্তির শিকার সাধারণ যাত্রী

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নগর সংবাদাতা ) : ড্রাইডারদের বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো, সিটিংয়ের নামে লোকাল বাসের মত অতিরিক্ত যাত্রী বহন। গাড়ি চালানোর সময় ধূমপান এবং যাত্রীদের সাথে অমানবিক আচারন করার অভিযোগ উঠেছে নারায়ণঞ্জের একটি আলোচিত পরিবহন হিমাচল এন্টারপ্রাইজ।

পরিবহন সংকট নিরসনের কথা ভেবে ও যাতায়াতের দিক থেকে নারায়ণগঞ্জের মানুষকে বেশি সুবিধা দিতে, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে সংসদ সদস্য নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের হাতে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা মিরপুরগামী হিমাচল এন্টারপ্রাইজের শুভ উদ্বোধন হয় । হিমাচল পরিবহন যাত্রার শুরু থেকেই বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ সাধারণ যাতীদের। অন্য গাড়ীর সাথে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে কখনও আইল্যান্ডের সাথে আবার কখনও অন্য গাড়ীর সাথে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারী মানুষ। বেপরোয়া ড্রাইভিং ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে ব্রেক কষার কারণে বাসের যাত্রীরা এবং পথচারীরাও অনেক সময় আঘাত প্রাপ্ত হয়। এর মধ্যে ২০১৭ সালের ১লা মে মাসুম (১২) নামের এক কিশোর হিমাচল পরিরহনের বাস চাপায় নিহত হয় ।

(এক্স) নামের এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, সিটিং সার্ভিসের ভাড়া আদায় করে সূচনালগ্ন থেকেই যাত্রীদের লোকাল সেবা দিয়ে আসছে হিমাচল পরিবহন । নিউ মেট্রো হলের সামনে থেকে যাত্রী নিয়ে চাষাঢ়া কাউন্টারে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে যাত্রী তোলা শুরু হয়, এরপর জেলা পরিষদ স্টেডিয়াম সহ বিভিন্ন স্থানে ব্রেক করে বাসে যাত্রী ওঠানো হয় । ফলশ্রুতিতে প্রতিদিনই বিরম্বনায় পড়ে বাসের জন্য স্ট্যান্ডে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। রাস্তা থেকে বাসে লোক ওঠানোর কারণে কাউন্টারে আধ ঘন্টা বাসের জন্য দাড়িয়ে থেকেও সিট পাওয়া যায়ি না। ফলে বেশির ভাগ সময় যাত্রীদের বাসে দাঁড়িয়ে থেকেই গন্তব্যে পৌঁছাতে হয় ।

অনেক সময় দেখা যায়, ১-২ জন হেলপার রাস্তা  থেকে লোক তুলে জালকুড়ি স্ট্যান্ডে গিয়ে সিট নেই বলে মহিলা যাত্রীদের বাসে উঠায় না। চেকারদের এসব বিষয় জানানো হয় কিনা এই প্রশ্ন এক যাত্রীকে করা হলে তিনি বলেন, চেকারদের বইলা লাভ নাই, সব হইল চোরের দল, যা পাইব সব ভাগ হইব ।

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ এর ৪। (১) ধারা ৭ এর বিধান সাপেক্ষে কোনো ব্যক্তি জন বহুল এলাকায় এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করিতে পারিবেন না -এ নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুল গুলী দেখিয়ে প্রতিদিনই গাড়ী চালানোর সময় ধুমপান করছে পরিবহন গুলোর  ড্রাইভার ও হেলপাররা। স্বাস্থ্য ঝুঁকি ছাড়াও বাসের ভেতর ধূমপান করলে অসতর্কতাবশত বাসের ভেতরে আগুন লাগার মত দূর্ঘটনা ও ঘটতে পারে। বাসের যাত্রীরা ড্রাইভারদের ধুমপান করতে নিষেধ করলে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে ড্রাইভাররা। হয়রানি-আতঙ্ক-ভোগান্তি থাকা সত্ত্বেও পরিবহন সংকটের কারণে প্রতিদিন এ সকল পরিবহন করেই গন্তব্যে যেতে হয় যাত্রীদের । আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রোডে নিয়ম ভঙ্গ করে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালাচ্ছে হিমাচল সহ বিভিন্ন পরিবহন মালিক ।

add-content

আরও খবর

পঠিত