নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরোর সদস্য ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের শীর্ষ নেতা জননেতা কমরেড আবু হাসান টিপু বলেছেন, সরকারের প্রচ্ছন্ন মদদে ধর্ম ব্যবসায়ীদের ধারাবাহিক নারী বিরোধী কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা নারীদেরকে দিনদিন অসহায় ও বিপন্ন করে তুলছে। সংবিধানে নারীর সমঅধিকারের কথা বলা থাকলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও নারীর সম্মান, মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত হয়নি। নারী এখনও শ্রেণী শোষণ ও পুরুষতান্ত্রিক শোষণ-নিপীড়ন ও বঞ্চনার শিকার। নারীর উপর নির্যাতন-নিপীড়ন-সহিংসতা, হত্যা-ধর্ষণ-নারী ও শিশু পাচার, মজুরী বৈষম্য এখন পর্যন্ত রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য বড়ই লজ্জার। ৮ই মার্চ সোমবার বিকালে চাষাঢ়াস্থ নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্যকালে তিনি এসকল কথা বলেন।
আয়োজিত সমাবেশে বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রমিক নেতা মাহমুদ হোসেন বলেছেন, জাতীয় উৎপাদনে নারী শ্রমিক ও কিষাণীদের যে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা এখন পর্যন্ত তার উপযুক্ত স্বীকৃতি নেই। দেশের মোট শ্রম শক্তির ৪০ শতাংশের বেশী নারী হলেও এখনও তারা উপযুক্ত মজুরী ও অধিকার থেকে বঞ্চিত। রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারে নারীরা নানাভাবে উপেক্ষিত। আজ সমাজের ভোগবাদী বিকৃত মানসিকতার কারণে নারীরা কেবল পণ্য হিসেবেই গণ্য হচ্ছে।
সমাবেশে সভাপতিত্বকালে শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ স¤পাদক রাশিদা বেগম বলেছেন, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে নারীদের যে অবদান তারও উপযুক্ত স্বীকৃতি নেই। বস্তুত, নারীকে এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ হিসাবেই গণ্য করা হচ্ছে। দেশে একমুখি বিজ্ঞান ভিত্তিক ও অসাম্প্রদায়িক শিক্ষার অনুপস্থিতির কারণে পশ্চাৎপদ ক‚পমুন্ডক ধ্যান-ধারণা ও নানামুখী প্রচারণাও নারীকে পিছিয়ে দিচ্ছে। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠিকে সমমর্যাদা না দিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র কোনভাবেই নিজেকে সভ্য ও গণতান্ত্রিক দাবি করতে পারে না। আর তাই নারী বিরোধী সকল আইনের বিলোপ ও নারী বিরোধী সকল ধরনের প্রচারণা বন্ধ করার লক্ষ্যে নারীদের পাশাপাশি পুরুষদেরও ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে গুরুত্বর্পর্ণ বক্তব্য রাখেন, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি সহিদুল আলম নাননু, নারীনেত্রী রোকসানা বেগম, তিথি সুবর্না, আইভি রহমান প্রমূখ।