সোনারগাঁয়ে মুদি ব্যবসায়ীর মাথা বিচ্ছিন্ন দেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিল্লাল হোসেন নামে এক মুদি ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (৬ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের কলতাপাড়া মীরেরটেক এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নিহতের বাড়ির পাশে ঝোপজঙ্গল থেকে পুলিশ তার মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করে। এর আগে রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

ঘটনাস্থলে  দেখা যায়, স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে পুরো এলাকাতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এমন নৃশংস হত্যাকান্ডকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের কেউই। একমাত্র উপার্জনকারি ব্যক্তিকে হারিয়ে ভেংগে পড়েছে পুরো পরিবারটি। স্বজনদের দাবি, দোকান নিয়ে বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে বিল্লাল হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।

স্বজনরা জানান, র‌বিবার রাত আটটার দিকে নিজের মুদি দোকান বন্ধ করে আর বাড়ি ফিরেননি বিল্লাল হোসেন। এরপর থেকেই নিখোঁজ থাকেন তিনি। পরিবারের লোকজন তার মোবাইল ফোনে কল দিলেও তার সাথে কারো আর যোগাযোগ হয়নি। সোমবার সকালে ছেলে ফয়সাল হোসেন বাড়ির পেছনে ঝোপে বাবার মাথাবিহীন লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। এসময় আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদরের জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টি এম মোশাররফ হোসেন, সোনারগাঁও থানার ওসি রফিকুল ইসলামসহ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ পিবিআই এর ক্রাইম সীন এবং সিআইডি পুলিশের একাধিক টীম।

নিহত বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী রুমা বেগমের দাবি, বাজারে দোকান নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এর আগেও এলাকার প্রভাবশালী সন্ত্রাসীরা দুইবার হামলা করে বিল্লাল হোসেনকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। সে ঘটনায় মামলাও চলমান রয়েছে। এর জের ধরেই বিল্লাল হোসেনকে এবার হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টি এম মোশাররফ হোসেন জানান, হত্যাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। হত্যাকারীরা যতো প্রভাবশালী হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। নিহত বিল্লাল হোসেন কলতাপাড়া মীরেরটেক গ্রামের মৃত রেহাজউদ্দিনের ছেলে। তার এক পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার মুদি দোকানের আয়ের উপরই পরিবারের খরচ চলতো। স্বজনরা ও এলাকাবাসি এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এদিকে এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতিসহ হত্যাকান্ডে কারা জড়িত তাদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান সোনারগাঁও থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।

add-content

আরও খবর

পঠিত