নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসের সাবেক কমান্ডার সোহেল রানা প্রমুখ।
রবিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরী মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপ এসব কথা সাংবাদিকদের জানান।
এবারের মেলার আকর্ষণ গ্রামীন লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম মাধ্যম (ভালবাসার তামা- কাঁসা- পিতল শিল্পের) বিশেষ প্রদর্শনী। প্রদর্শনী উপলক্ষে গবেষনামূলক একটি ক্যাটালগ প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহন করেছে ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। এবারের মেলায় বাজেট ধরা হয়েছে ৭০ লাখ টাকা।
অন্যান্য বছরের মতো এবছরও মেলা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে। এদিকে মেলা উপলক্ষে মেলা চত্বরে চলছে নানা প্রস্তুতি। ফাউন্ডেশনের পুরো এলাকায় বর্নাঢ্যভাবে সাজানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সকাল ১১টায় ফাউন্ডেশন চত্বরে সোনারতরী লোকজ মঞ্চে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
মেলা চত্বর প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া মেলা চলবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত।
ফাউন্ডেশন সত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চল থেকে ৬০ জন কারুশিল্পী মেলায় প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন। তাদের জন্য ৩০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ঝিনাইদহ ও মা-রার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ি, চট্টগ্রামের নক্শি পাখা, রংপুরের শত রঞ্জি, সোনারগাঁওয়ের হাতি ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারু শিল্প, নক্শিকাঁথা, নক্শি হাতপাখা, মুন্সিগঞ্জের শীতল পাটি, মানিকগঞ্জের তামা-কাঁসা পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারু পণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরা কোটা শিল্প, সোনারগাঁয়ের পাটের কারু শিল্প, নাটোরের শোলার মুখোস শিল্প, মুন্সিগঞ্জের পট চিত্র, ঢাকার কাগজের হস্ত শিল্পসহ মোট ১৭০টি স্টল থাকছে।
এছাড়াও লোক কারু শিল্প মেলা ও লোকজউৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান,লালন সংগীত, মাইজভান্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গাঁয়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি থাকবে।