সাইনবোর্ড এখন মৃত্যুফাঁদ

নারায়ণগঞ্জ র্বাতা ২৪ ( সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকন ) : ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটির অন্যতম জনবহুল এলাকা সাইনবোর্ড এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এই এলাকাটি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মার্কেটসহ হাসপাতালে সয়লাব হয়ে গেছে। আর তাই প্রয়োজনের তাগিদে প্রতিদিনই এই সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে লাখো মানুষ। সরকার এ হাইওয়ে সড়কটিকে ৪ লেন থেকে ৮ লেন করার প্রকল্পটিও খুব দ্রুতগতিতে করছে। যার ফলে এ রাস্তার আড়াআড়ি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে সু-বিশাল। তাছাড়াও বিভিন্ন জেলার ব্যস্ততম প্রধান সংযোগ সড়কের মধ্যে এটি একটি। আর হাইওয়ে রোড হওয়ায় প্রতিদিনই প্রায় লক্ষাধিক গাড়ি চলাচল করে এই এলাকাটির সড়ক দিয়ে। আর এসব দ্রুততম গাড়িগুলোকে গতিরোধক করার মত নেই কোন ব্যবস্থা। অথচ এই বিশাল সড়কে পথচারীদের পারাপারের জন্য নেই একটি ফুট ওভারব্রিজ।

ফলে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সড়ক পার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকার মোড়টিই সবচেয়ে বিপজ্জনক। এখানে সার্বক্ষনিক প্রাইভেট কার, লেগুনা, কভার ভ্যান হালকা যানসহ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ট্রাক, লরি, যাত্রীবাহী বাসসহ নানা ধরনের ভারি যানবাহন চলাচল করে। অথচ এই পথটিই রাস্তা পারাপারের জন্য মানুষ বেশি ব্যবহার করে। এর মধ্যে বয়স্ক, শিশু ও নারীদের কথা বিবেচনা করে চলন্ত সিঁড়িসহ একটি ফুট ওভারব্রিজের প্রয়োজনীয়তা সর্বাধিক। এতে করে শুধু সাধারণ মানুষ জীবনের ঝুঁকি থেকে রক্ষাই পাবেনা। যানজট নিরসনেও ফুট ওভারব্রিজ অন্যতম ভূমিকা রাখবে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন জানায়, সাইনবোর্ড এলাকাটি বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় স্থান। তাছাড়া এটি এখন লোকারন্যে পরিণত হয়েছে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম স্থান এখন সাইনর্বোড এলাকাটি।  আমি নারায়ণগঞ্জের একটি সুনামধন্য কলেজে পড়াশুনা করি। প্রতিদিনই বাসা থেকে বের হলে সাইনবোর্ড সড়কের মোড়টি পার হতে আমার অনেক ভয় লাগে। একের পর এক গাড়ি চলতে থাকে। এত দ্রুত গতিতে চলে যে হাতটা বাড়িয়ে সিগন্যাল দিব তাও সাহস হয়না। কিন্তু কি করার তারপরেও জীবনের ঝুকিঁ নিয়েই পার হচ্ছি। জন-নিরাপত্তা এবং জনদুর্ভোগ কমানোর জন্য নেই তেমন কোন সু-ব্যবস্থা। প্রায়ই ঘটে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা, এই আকষ্মিক সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে ওভারব্রীজ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এক কথায় যে কোন দুর্ঘটনা এড়াতে এর ব্যবহার অনস্বীকার্য। এমতবস্থায় আমাদের সকলের প্রাণের দাবি একটি ফুট ওভারব্রীজ নির্মাণ।

এসময় জাকির হোসেন আরও বলেন, এখানে কোটি টাকা ব্যয় করে জাতির পিতা ও কন্যার একটি বিশাল স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু জনদুর্ভোগ এবং জন-নিরাপত্তার জন্য কারও উদ্যোগে যদি একটি ফুট ওভারব্রিজ তৈরি হত তাহলে অনেক ভালো হত। কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতা আমরা কামনা করিনা।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলি আমিরুল হোসেন বলেন, আমাদের রোড ডিজাইন অনুযায়ী  মুল চত্ত্বরে কোন ফুট ওভারব্রিজ করা যাবেনা। এতে করে বরং জনদুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে, যানজটের সৃষ্টি হবে। তবে এলাকাবাসী  দাবী জানালে ও পত্রিকায় প্রকাশিত হলে ৫০০-৬০০ মিটার দূরে আশপাশে কোথাও করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষকে জানাবো। মানুষ শুধু বলে কিন্তু অনেক সময়ই ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করেনা ।

add-content

আরও খবর

পঠিত