সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের বিতারিত করে ভুমিদস্যুদের জবরদখল

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে এক সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের এলাকা থেকে বিতারিত করে বসতভিটা জবরদখল করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ভুমিদস্যুদের বিরুদ্ধে। উদ্দেশ্যে মুলক ভাবে একটি হত্যা মামলায় পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে বসতভিটা জবরদখল করে নেয় তারা। শনিবার দুপুরে উপজেলার মঠেরঘাট এলাকার রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সংখ্যালঘু পরিবারটি।

সংবাদ সম্মেলনে সংখ্যালঘু আরতি রানী অভিযোগ করে জানান, উপজেলার হাটাব আতলাশপুর এলাকার নবীর হোসেন নামে এক যুবককে কে বা কারা হত্যার পর শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। পরে গত বছরের ২৮ অক্টোবর ভাসমান অবস্থায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নবীর হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় সিঙ্গাপুর প্রবাসী কবির হোসেনের সঙ্গে নবীর হোসেনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এছাড়া কবির হোসেন হত্যার হুমকিও দিয়েছিলো নবীর হোসেনকে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় কবির হোসেনকে অভিযুক্ত করা হয়। সেই সঙ্গে স্থানীয় সুবিধাবাদী ভুমিদস্যুরা আরতি রানীর ছেলে উত্তম চন্দ্র বর্মণকে এ মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়। উত্তম চন্দ্র বর্মন একজন দিন মজুর। পরে আরতি রানীসহ পরিবারের সদস্যদের এলাকা থেকে বিতারিত করে প্রায় ১১ শতাংশ জমি জবরদখল করে নেয় নজরুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, গোপাল, রাম দাস, নুরুল হক, আতাবুর ও এমারাত নামে ভুমিদস্যুরা।

বসতভিটা জবরদখল করতেই উত্তম চন্দ্র বর্মণকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই বসতবাড়িতে গেলে সংখ্যালঘু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো হবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে ওই ভুমিদস্যুরা। বর্তমানে তারা ত্রিশকাহনিয়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন পরিবারটি। এদিকে, মামলার প্রধান আসামী কবির হোসেন কাউকে কিছু না বলে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে গেছে। জবরদখলকৃত বসতভিটা উদ্ধারসহ হত্যা মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান আরতি রানি।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রকৃত ভাবে যারা হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত তাদেরই আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া বসতভিটা জবরদখলের বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে অব্যশই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত