নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, চলমান বাস শ্রমিক ধর্মঘটের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, আমি এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। ২৮ অক্টোবর রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকরা ধর্মঘটের বিষয়ে জানতে চাইলে বার বার তিনি বলেন, আমি জানি না, আমি কিছু জানি না। আমি এটা নিয়ে কিছুই বলবো না। সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে রবিবার থেকে সারাদেশে বাস ধর্মঘট শুরু হয়। এ ধর্মঘটের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
যদিও শ্রমিকরা যে আট দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন, সেই দাবি এখনই পূরণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, এই সরকারের হাতে যে সময় আছে, তাতে সড়ক পরিবহন আইনটি আর সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই। শ্রমিক নেতারা আইনটি ভালোভাবে না পড়েই আন্দোলনে নেমেছেন।’
এর আগে অবশ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আইনটি সংশোধন করা বা শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান। এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘এ মুহূর্তে শুধু বলতে চাই, ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন, মানুষকে কষ্ট দিয়ে কোনো লাভ নেই।
রবিবার ভোর ৬টা থেকে আট দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। রাজধানীর অন্যতম প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ীতে কোনো গণপরিবহন চলতে দেখা যায়নি। যাত্রাবাড়ীতে সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে ডেমরা থেকে আসা দুটি বাসের যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে বাস দুটির চাবি নিয়ে গেছেন শ্রমিকরা।
এদিকে, রাজধানীর অফিসগামী হাজার হাজার মানুষ হেঁটে চলছেন। বেশি ভাড়া দিয়ে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রাইডশেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও-উবারের মোটরসাইকেলে করে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন অনেকে।
মোটরসাইকেলের চালক, ব্যক্তিগত গাড়ির চালক কিংবা আরোহীদের মুখেও পোড়া মবিল মেখে দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছেন ধর্মঘটের সমর্থনে রাস্তায় নামা শ্রমিকরা। এরই মধ্যে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সমালোচনাও হচ্ছে।
ধর্মঘটকারী শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনার সব অপরাধ জামিনযোগ্য করা, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান বাতিল করা, সড়ক দুর্ঘটনায় গঠিত যেকোনো তদন্ত কমিটিতে ফেডারেশনের প্রতিনিধি রাখা, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি নির্ধারণ এবং সড়কে পুলিশের হয়রানি বন্ধ করা।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর শ্রমিক ফেডারেশন সিদ্ধান্ত নেয়, সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারসহ আট দফা দাবি ২৭ অক্টোবরের মধ্যে পূরণ না হলে ২৮ অক্টোবর থেকে দুদিনের কর্মবিরতিতে যাবেন শ্রমিকরা।