নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : বন্দর সেন্ট্রাল খেয়া ঘাটে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৫ জনের মধ্যে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। গতকাল দুপুরে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবরি দলের সদস্য লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। উদ্ধারকৃত লাশগুলো হলো দীন ইসলাম (৩৫) মন্দনগঞ্জ লক্ষ্মার চর এলাকার বাসিন্দা। সে এক সন্তানের জনক ও একজন হোসেয়ারী শ্রমিক। বন্দর ইসলামপুর এলাকার রমিজউদ্দিনের ছেলে মো. ইমন (২২), ফকির চানের ছেলে জনি (২৩) ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তি।
এর আগে শীতলক্ষ্যা নদীর স্কুল ঘাট এলাকা থেকে একজনের লাশ উদ্ধার হয়। তাঁর পরিচয় এখনও সনাক্ত করা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি নিখোঁজ ওসমান গণির লাশ। তবে এখনো র্পযন্ত নিখোঁজ আরো ১ জনের সন্ধানে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। এদিকে নিখোঁজদের সন্ধান পেতে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে আহাজারী করছে নিখোঁজের স্বজন। নিখোঁজ ব্যাক্তির ছবি হাতে নিয়ে ছুটাছুটি করছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।
বন্দর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা জানায়, ৪ জন নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন, ৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদরে মধ্যে তিনজনের পরিচয় সনাক্ত করেছে তাদের স্বজনরা। তবে এরআগে উদ্ধারিত ১জনের মরদেহের মুখমন্ডল কিছুটা ক্ষত-বিক্ষত হওয়ায় তাঁকে কেউ সনাক্ত করতে পারেনি। আরো ১ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে স্বজন দাবি করছেন, তাই ভোর থেকেই আমাদের অভিযান চলছে। প্রয়োজনে আমরা বুধবারেও এ অভিযান অব্যাহত রাখবো।
এর আগে রোববার রাতে খেয়াঘাট থেকে মদনগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রলারটি। পরে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে মাঝনদীতে গেলে ট্রলার ডুবির দূর্ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, প্রতিনিয়তই অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে এসব ট্রলারে নদী পারাপার করা হয়। যে কারণে আজকেও ট্রলার দিয়ে নদী পারাপারের সময় ভাঙ্গার শব্দ শোনা যায়। এসময় যাত্রীরা আতংকে এদিক সেদিক ছুটাছুটির চেষ্টা করলে একদিকে পানি উঠতে শুরু করে। যাত্রীরা অনেকেই নদীতে লাফিয়ে পড়ে। পরে ট্রলারটি ডুবে যায়।
ওই সময়ে এ ব্যপারে নৌ ফারি ওসি নেয়াজুল জানায়, এমন সংবাদ পাওয়ার পরই আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। উদ্ধার কাজে তারা সার্বিক সহযোগীতা করছে। কেউই হতাহত নেই। একজন নিখোঁজ রয়েছে বলে তিনি দাবি করেছিলেন।