নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁও প্রতিনিধি ) : সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদের দাবিকৃত ৫লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় মেহেদি হাসান (২৪) নামে এক বালু ববসায়ীর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় মহিলাসহ ৬জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের গোহাট্টা গ্রামের মজিবুরের ছেলে বালু ব্যবসায়ী মেহেদি হাসান, তার চাচী সুমি আক্তার, ফুফু শিল্পী আক্তার, চাচা মহসিন মিয়া ও চাচাতো ভাই তাবারক হোসেন।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রভাবশালী সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের শ্যালক এহশানুল হাসান নিপুর খালাতো ভাই সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদ।
২৩ জুলাই সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের গোহাট্টা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী মেহেদি হাসান বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বালু ব্যবসায়ী মেহেদি হাসান জানান, গোহাট্টা গ্রামে একটি বড় পুকুর ও নালা ভরাটের ঠিকাদারীর কাজ পান তিনি। গত প্রায় ২০ দিন আগে ওই বালু ভরাটের কাজ থেকে ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন দমদমা গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদ। সোমবার ব্যবসায়ী মেহেদি হাসান গোহাট্টা গ্রামে তার চাচা মহসিন মিয়ার দোকানে বসে থাকে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা হাসান রাশেদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী মোস্তাফিজুর রহমান কাজল, সজীব, জামাল, সুমন ও সানিসহ ২০-২৫ জন মিলে দোকানের সামনে গিয়ে অতর্কিত অবস্থায় মারপিট শুরু করে এবং ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মেহেদি হাসানকে বাঁচাতে তার চাচী সুমি আক্তার, ফুফু শিল্পী আক্তার, চাচা মহসিন মিয়া ও চাচাতো ভাই তাবারক হোসেন ছুটে আসলে তাদেরকেও এলোপাতারিভাবে পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।