নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনকল্যাণের কথা চিন্তা করে রাজনীতি করলে টিকে থাকা যায় আর লোভ নিয়ে রাজনীতি করলে টিকে থাকা যায় না। ১০ই ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসকল কথা বলেন।
যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আমাদের চলতে হয়েছে, চলতে হবে এটা স্বাভাবিক। তবু আমি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের বলব, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ যদি কেউ বুকে ধারণ করে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে রাজনীতি করে তাহলে সে রাজনীতিতে টিকে থাকা যায়। কিন্তু যে রাজনীতি করতে গিয়ে লোভের বশবর্তী হয়, অর্থ সম্পদটা যার কাছে বড় হয়ে যায় তারা কিন্তু বেশি দিন টিকতে পারে না- এটা বাস্তবতা। এটা শুধু আমাদের দল বলে না। আমি সমগ্র বাংলাদেশের অন্যান্য সব রকম রাজনৈতিক দলের কথাই যদি চিন্তা করি তাহলে আমরা সেটা দেখব।
তিনি আরো বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করে আদর্শ ভিত্তিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সব সময় এটা মনে রাখতে হবে যে আমাদের রাজনীতি যেন আমাদের দেশের মানুষের জন্য হয়, কল্যাণের জন্য হয়। সেই রাজনীতিটাই হচ্ছে সঠিক রাজনীতি। আর রাজনীতি করতে আসে যারা ভাগ্য তৈরি করতে, হয়ত তারা কিছু টাকা পয়সা বানাতে পারে। কিন্তু তারপরে আর তার অস্তিত্ব থাকে না- এটা আজ প্রমাণিত সত্য।
তরুণদের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরার পাশপাশি দেশের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু হিসেবে নিয়েছিল বলে আজকে জনগণের কাছে তাদের কোন স্থান নেই। আমি জিয়াউর রহমানের কথা বলি, এরশাদের কথা বলি, খালেদা জিয়ার কথা বলি, যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারাই নিজেদের ভাগ্য নিয়েই ব্যস্ত ছিল, নিজেরা অর্থ সম্পদ নিয়েই ব্যস্ত। মানুষের জন্য করে নাই। মানুষের জন্য করলে যে করা যায় সেটা আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পথ পেরিয়ে ২১ বছর পর তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পেরেছে বলেই তারা জনগণের পাশে দাঁড়াতে পেরেছেন। প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে যুবলীগের নেতাকর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন বলে তাদের ধন্যবাদও জানান শেখ হাসিনা।
রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন প্রান্তে এই সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ূন,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।