নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : র্যাব-১১ এর অভিযানে ২৪ জন প্রতারককে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১শ ১ জন ভিকটিম। একই সাথে তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিপুল সংখ্যক নথিপত্র। ২৪ নভেম্বর রাত আটটার দিকে ঢাকার উত্তরার ১০ নং সেক্টরে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। তারা প্রতেক্যেই (লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড) নামে একটি এমএল কোম্পানির সাথে সম্পৃক্ত থেকে প্রতারণা করে আসছিলো বলে র্যাব-১১ জানিয়েছে।
আটকরা হলেন, মো. নজরুল ইসলাম (২৮), মো. গোলাম কিবরিয়া (৩৮), মো. সিদ্দিকুর রহমান (৩৭), বিপুল চৌধুরী (২৮), সালমান ফারসি (২০), মো. সেলিম রেজা (২৭), মো. খায়রুজ্জামান টিটু(২৫), মো. আলী আকবর (২২), সুজন মিয়া (২৫), মো. কামরুল আহসান (৪৯), মো. রুহুল আমিন (২১), মো. সুমন মুন্সী (৩১), মো. ইসমাইল হোসেন (২৩), মো. রেজাউল করিম (২৫), মো. ইসমাইল হোসেন (২২), মো. আরিফুল ইসলাম যাদু (২৬), মো. আল আমিন (২১), মো. মোবারক হোসেন (২০), মো. মাহাবুর রহমান (২৬), মো. মেহেদী হাসান (২২), মো. মাইদুল ইসলাম (২৬), মো. সোহাগ (২৯), রাকিব শেখ (২৪), ও মো. সাদ্দাম হোসেন(২৫)। র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, (লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড) নামক ওই কোম্পানী যুবক-যুবতীদের বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে লোভনীয় বেতনের আশ্বাসে জামানত বাবদ ৫৫ হাজার টাকা করে জামানত নিয়ে প্রশিক্ষণের নামে কালক্ষেপন করতে শুরু করে। পরবর্তীতে তাদেরকেই আরও দুজন করে লোক সংগ্রহ করে দেয়ার শর্ত আরোপ করে। নতুন সদস্য দিতে না পারলে কুট-কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে খালি ষ্ট্যাম্প ও আপসনামায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে তাড়িয়ে দেয়। প্রতিবাদ করলে ভাড়াটিয়া লোকজন দ্বারা আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনও করে থাকে।
জসিম উদ্দীন আরও বলেন, অভিযানকালে ভুয়া এমএলএম কোম্পানীর প্রশিক্ষণের নামে সেমিনার কক্ষ হতে প্রতারণার শিকার ১০১ জন ভূক্তভোগীদের উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ওই কোম্পানীর অফিস থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৮টি মনিটর, বিপুল সংখ্যক নথিপত্র ও নগদ ৩১ হাজার ২শ টাকা উদ্ধার করা হয়।